জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা সব ক্রিকেটারের স্বপ্ন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়াটা যে কতটা গর্বের বিষয়, সেটা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। এমন সুযোগ পেলে যে কোনও ক্রিকেটারই তা লুফে নিতে চাইবেন। হাতো গোনা গুটিকয়েক তারকাই দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করার সাহস দেখাবেন। আফগানিস্তানের তারকা স্পিনার রশিদ খান সেই দলেই পড়েন।
এর আগে আফগানিস্তানকে তিন ফর্ম্যাটেই নেতৃত্ব দিয়েছেন রশিদ। যদিও ক্যাপ্টেন্সির প্রতি তাঁর অনীহার কথা জানা গিয়েছিল আগেই। এবার যখন আসগর আফগানকে সরিয়ে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নতুন অধিনায়কের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চায়, তখনও নিজে থেকেই পিছু হাঁটেন রশিদ।
অন্তত টি-২০ ক্রিকেটে জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব ছিল রশিদের সামনে। তিনি বেছে নেন ভাইস ক্যাপ্টেনের ভূমিকা। ক্যাপ্টেন্সি থেকে দূরে সরে থাকাই শ্রেয় মনে করেন রশিদ।
ESPNcricinfo-কে রশিদ খান জানিয়েছেন, তিনি খেলোয়াড় হিসেবেই যথাযথ। ক্যাপ্টেন হিসেবে নন। তাঁর কথায়, ‘নিজের সম্পর্কে আমার স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে যে, আমি খেলোয়াড় হিসেবেই যথাযথ। সহ-অধিনায়কের ভূমিকায় তুলনায় কাজ চালানো যায়। যখন প্রয়োজন পড়বে, ক্যাপ্টেনকে সাহায্য করতে পাবর। তবে নেতৃত্ব থেকে দূরে সরে থাকাই ভালো।’
আসলে রশিদ ভয় পান, ক্যাপ্টেন্সি তাঁর বোলিং পারফর্ম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি খেলোয়াড় হিসেবে দলের জন্য ভালো পারফর্ম্যান্স করতে চাই। ক্যাপ্টেন হিসেবে অন্যান্য বিষয় নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার থেকে খেলোয়াড় হিসেবে আমার পারফর্ম্যান্স দলকে বেশি সাহায্য করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। আমি ভয় পাই যে, ক্যাপ্টেন্সি আমার খেলায় প্রভাব ফেলতে পারে। সুতরাং আমি খেলোয়াড় হিসেবেই দলে থাকতে পছন্দ করব। বোর্ড ও নির্বাচকরা যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাতে আমার সমর্থন থাকবে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।