I-League: পয়লা এপ্রিলের আগে নয় ডার্বি

লাল-হলুদের তরফে জানানো হয়, ফাঁকা স্টেডিয়ামে ডার্বি হলে দর্শকরা বঞ্চিত হবেন।

কবে ডার্বি হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা (ফাইল ছবি, সৌজন্য এএনআই)

আগামী ১৫ মার্চের ডার্বি কবে হবে? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের সব মাঠে খেলা বন্ধ থাকবে। ফলে ১ এপ্রিলের আগে ডার্বির কোনও সম্ভাবনা নেই।

করোনাভাইরাসের জেরে বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থাগুলিকে খেলা স্থগিত করে দেওয়ার আর্জি জানায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। একান্ত তা সম্ভব না হলে দর্শকশূন্য মাঠে খেলা আয়োজনের নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। তা নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আই লিগের বাকি ম্যাচগুলি ফাঁকা গ্যালারিতে হবে। ডার্বিও দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হবে। তাতে রাজি ছিল মোহনবাগান। কিন্তু আপত্তি জানায় ইস্টবেঙ্গল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সভায় লাল-হলুদের তরফে জানানো হয়, ফাঁকা স্টেডিয়ামে ডার্বি হলে দর্শকরা বঞ্চিত হবেন। সেজন্য ডার্বি পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার। ডার্বি পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে মত দেন মুখ্যমন্ত্রীও।

এরইমধ্যে খবর আসে, করোনা আতঙ্কে ইডেনে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচও বাতিল হয়ে গিয়েছে। তারপরই ডার্বি পিছিয়ে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফেডারেশনের তরফে পরে জানানো হয়, রাজ্য সরকারের অনুমতি খেলা আয়োজন সম্ভব নয়। তাই নিমরাজি থাকলেও শেষপর্যন্ত ডার্বি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

কিন্তু কবে সেই ডার্বি হবে, তা নিয়েে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে,৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের সব মাঠে খেলা বন্ধ থাকবে। ফলে তার আগে ডার্বির সম্ভাবনা নেই। বড়জোর ১ এপ্রিল ডার্বি হতে পারে। তবে সে বিষয়েও কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ মার্চের শেষের দিকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে রাজ্য। তখন কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তার উপর নির্ভর করবে ডার্বির নয়া তারিখ।