বিশ্বের সব খেলোয়াড়ই দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখেন। ব্যতিক্রমী নন ক্রিকেটাররাও। বিশ্বকাপ যে কোনও ক্রিকেটারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, তবে এই মুহূর্তে আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ ভারতীয় বোর্ডের কাছে অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেটা যে নিছক আর্থিক দিক দিয়ে, তা বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না।
করোনা মহামারির জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাস্তবিকই আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ গুরুত্ব পাচ্ছে না বিসিসিআইয়ের কাছে। গুরুত্ব নেই এশিয়া কাপেরও। বরং ভারতীয় বোর্ডকে বেশি তৎপর দেখাচ্ছে আইপিএল আয়োজন নিয়ে। টাকার অঙ্কে বিসিসিআইয়ের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের ধারে কাছে আসে না বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপ। দেখে নেওয়া যাক আর্থিক হিসাব।
আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলির আয় হতে পারে ৬০-৯০ কোটি টাকা। অর্থাৎ, গোটা বিশ্বকাপ খেলে ভারত ৯০ কোটি টাকা আয় করতে পারে। যেখানে স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে সম্প্রচার চুক্তি অনুযায়ী ভারত ঘরের মাঠে একটি মাত্র দ্বি-পাক্ষিক ম্যাচ খেললেই বিসিসিআইয়ের কোষাগারে আসবে ৬০ কোটি টাকা। বিজ্ঞাপণ ও অন্যান্ত সূত্র থেকে প্রাপ্ত অর্থের কথা না হয় বাদই দেওয়া গেল।
২০২০-২১ মরশুমে ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন বাবদ ৯৫২ কোটি টাকা আয় হওয়ার কথা বিসিসিআইয়ের। ঘরের মাঠে বাড়তি একটি দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ যোগ করতে পারলেই বিশ্বকাপের থেকে বেশি আয় করা সম্ভব ভারতীয় বোর্ডের।
তাছাড়া বিসিসিআই বছরে ৩৮০ কোটি টাকা পায় আইসিসির কাছ থেকে। আইপিএল থেকে ভারতীয় বোর্ডের আয় এক বছরে ২৫০০ কোটি। আইপিএল না হলে মুনাফা তো সম্ভব নয়ই, উলটে স্পনসরশিপ, টেলিভিশন স্বত্ব, অন্যান্য মিডিয়া রাইটস, ফ্র্যাঞ্চইজিদের লভ্যাংশ, ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক, অভ্যর্থনা ও যাতায়াতের মতো সার্বিক খরচ মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ধাক্কা সামলাতে হবে ভারতীয় বোর্ডকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।