‘ডেড বল’ বিতর্কে পাকিস্তানি নেটিজেনদের খোঁচা দিলেন জিমি নিশম। কটাক্ষের সুরে নিউজিল্যান্ডের তারকা বুঝিয়ে দিলেন, ফ্রি-হিটে কেউ বোল্ড হলে সেই বলটা ডেড বল হয়ে যায় বলে যে স্ক্রিনশট ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, তা পুরোপুরি ভুয়ো। বাস্তবে সেটা মোটেও ক্রিকেটের নিয়ম নয়।
রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর নিউজিল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার টুইটারে লেখেন, ‘আমায় টুইট করা অনেক লোকজনই বিশ্বাস করেন যে কিছু টাইপ করে স্ক্রিনশট নিলেই সেটা জাদুবলে ক্রিকেটের আইন হয়ে যায়। টুইটার মাঝেমধ্যেই আমায় অবাক করে দেয়।’
নিশমের দেশের গ্র্যান্ট এলিয়ট অবশ্য সরাসরি কোনও বিতর্কে জড়াননি। তিনি বলেছেন, 'কেন আমার মনে হচ্ছে যে এই (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের পর নিয়ম পরিবর্তন হবে?' সেই টুইটের সঙ্গে 'ফ্রি-হিটে বোল্ড', 'ব্যাটারদের খেলা'-র মতো ট্যাগ যোগ করেন ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের নায়ক। তাঁকে অনেকে সমর্থন করেন। অনেকে আবার দাবি করতে থাকেন, ওই নিয়মের কারণে যেহেতু ভারত জয় পেয়েছে, তাই নিয়ম পালটানো হবে না।
যদিও ফ্রি-হিটে বোল্ড হওয়ার পর যে এই প্রথম কোনও দল রান পেয়েছে, সেটা মোটেও হয়নি। দিনকয়েক আগেই একই ঘটনা ঘটেছে। সেটা নিয়ে অবশ্য কার্যত কোনও শব্দই খরচ করা হয়নি। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ফ্রি-হিটে বিরাট কোহলি বোল্ড হওয়ার পরেই যত বিতর্ক শুরু হয়েছে।
রবিবার মেলবোর্নে ২০ তম ওভারের চতুর্থ বলটি নো বল করেন পাকিস্তানের মহম্মদ নওয়াজ। স্বভাবতই পরের বলটি ফ্রি-হিট হয়। তাতে বোল্ড হয়ে যান বিরাট। তবে ফ্রি-হিট হওয়ায় বিরাট আউট বলে বিবেচিত হননি। যদিও সেই বলে দীনেশ কার্তিক এবং বিরাট দৌড়ে যে তিন রান নেন, সেটা নিয়েই যত আপত্তি তোলেন পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা। টুইটারে সরব হন পাকিস্তানি নেটিজেনরা দাবি করতে থাকেন, ফ্রি-হিটে বল স্টাম্পে লাগলে সেটা ডেড বল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেইসঙ্গে আইসিসির নিয়ম হিসেবে দাবি করে একটি ভুয়ো ছবিও ছড়াতে থাকেন তাঁরা।