এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে এলেও শ্রীলঙ্কাকে প্রথম রাউন্ডের একেবারে শুরুতেই ধাক্কা খেতে হয়। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারা সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নেয়। সুপার টুয়েলভের লড়াইয়ের আগে সিংহলিদের শক্তি-দুর্বলতায় চোখ রাখা যাক।
শ্রীলঙ্কার শক্তি:-
১. শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলে তারকার অভাব নেই। তবে মহাতারকার জৌলুস নেই সেই অর্থে। গত এশিয়া কাপেও শ্রীলঙ্কা সাফল্য পেয়েছে টিম গেমে ভর করে। দলগত পারফর্ম্যান্সই সিংহলিদের আসল শক্তি।
২. স্পিন বোলিং শ্রীলঙ্কার অন্যতম সেরা হাতিয়ার। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকসানারা বল হাতে বরাবর ধারাবাহিক। আসলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টি-২০ লিগ খেলার অভিজ্ঞতাই হাসারাঙ্গাদের সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি।
৩. শ্রীলঙ্কার অল-রাউন্ডাররা দলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারসাম্য এনে দেন। দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গারা ব্যাটে-বলে সামন কার্যকরী।
৪. সুপার টুয়েলভ রাউন্ডের আগে প্রথম রাউন্ডে মাঠে নামা শ্রীলঙ্কাকে বাড়তি সুবিধা দেবে নিশ্চিত। কেননা, বড় মঞ্চের আগে অস্ট্রেলিয়ার পিচ ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বাড়তি সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
৫. কুশল মেন্ডিস, ধনঞ্জয়া ডি'সিলভারা কখনই ব্যাট হাতে একটানা ব্যর্থ হন না। ভানুকা রাজাপক্ষের আগ্রাসী ব্যাটিং শ্রীলঙ্কাকে নির্ভরতা জোগাবে বিশ্বকাপে। তাছাড়া বিশ্বকাপের ঠিক আগে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় শ্রীলঙ্কার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে নিশ্চিত।
শ্রীলঙ্কার দুর্বলতা:-
১. চাপের মুখে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপের ভেঙে পড়ার প্রবণতা রয়েছে। কঠিন সময়ে একার হাতে দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার মতো তারকার অভাব রয়েছে শ্রীলঙ্কার স্কোয়াডে।
২. চোট-আঘত সমস্যা চলতি বিশ্বকাপের সব থেকে বেশি কাবু করেছে শ্রীলঙ্কাকে। ছিটকে গিয়েছেন মদুশঙ্কা, চামিরা। চোট বয়ে বেড়াচ্ছেন নিশঙ্কা, গুণতিলকে, প্রমোদ মদুশানরা। সুতরাং, সব ম্যাচে পূর্ণ শক্তির দল নামানোই সম্ভব হবে না শ্রীলঙ্কার পক্ষে।
৩. তাছাড়া বিশ্বকাপের শুরুতেই নমিবিয়ার কাছে বড় হারের পরে শ্রীলঙ্কার আত্মবিশ্বাস ধাক্কা খেয়েছে সন্দেহ নেই। বাকি দলগুলির কাছে ইতিমধ্যেই প্রকট হয়েছে সিংহলিদের ফাঁক-ফোকরগুলি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।