চার ওভারে ৫৭ রানের প্রয়োজন ছিল। এই পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বদলাটা আর নেওয়া হবে না কিউয়িদের। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ ড্র হওয়ার পর বেশি চার মারার আজব নিয়মে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই ক্ষতটাই বুকে নিয়ে বুধবার খেলতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। সে কারণেই বোধহয় দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরেও ঘুরে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ড। ১ ওভার বাকি থাকতে ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয়।
শুধু যে ৫ উইকেটে জিতেছে নিউজিল্যান্ড তা নয়, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচে আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে চারও বেশি মারে নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ড মেরেছিল ১৮টি বাউন্ডারি। নিউজিল্যান্ড মারে ১৯টি বাউন্ডারি। কোনও রকম ফাঁক এ বার রাখতে চায়নি কিউয়ি ব্রিগেড।
নিউজিল্যান্ড ইনিংসের ১৭তম ওভারে নিশামের দু'টো ছয় এবং একটি চার রানই ম্যাচের রং পাল্টে দেয়। সেই ওভারে নিউজিল্যান্ড মোট ২৩ রান করে। সেই সঙ্গে ইংল্যান্ডের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নেয় কিউয়ি ব্রিগেড। তবে একা নিশাম নন, এই জয়ের পিছনে রয়েছে আরও দুই কিউয়ি ক্রিকেটার। ৪৭ বলে ৭২ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেন ডারিল মিচেল। ৩৮ বলে ৪৬ করেন ডেভন কনওয়ে। নিউজিল্যান্ডের লড়াকু এই জয়ের পর নেটপাড়ায় একেবারে হইহই পড়ে গিয়েছে। শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন উইলিয়ামসনদের।
২০১৯ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালের স্মৃতিটা শুধু নিউজিল্যান্ড বলে নয়। পুরো ক্রিকেট বিশ্বই ভুলতে পারে না। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ম্যাচ টাই হওয়ার পর ফলাফল নির্ধারণের জন্য সুপার ওভারে গড়ায় লড়াই। তবে সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই হয়। বাউন্ডারি কাউন্টে (বেশি বাউন্ডারি মারার জন্য) ম্যাচ জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে এ ভাবে জিতিয়ে দেওয়ায় সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল সেই সময়ে। এখনও সেই প্রসঙ্গ উঠলে সমালোচনাই হয় আইসিসি-র আজব নিয়মের। তবে এ বার আর নিউজিল্যান্ড কোনও ঝুঁকি নেয়নি। ১ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলেছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।