আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ এর বাছাইপর্বের সপ্তম ম্যাচে বুধবার ওমানকে সাত উইকেটে হারিয়ে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই জয়টি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সান্ত্বনা পুরস্কার, কারণ এই জয়ের ফলে নিকোলাস পুরানরা ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পাবে না। কারণ তারা ইতিমধ্যেই ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাইরে চলে গিয়েছে। অন্যদিকে, টুর্নামেন্টে এটাই ছিল ওমানের শেষ ম্যাচ। তারা তাদের ৭টি ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে হেরে এবং জিতেছে মাত্র ২টি ম্যাচে।
ম্যাচের কথা বললে, এই ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওমান দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২২১ রান করতে সক্ষম হয়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন সুরাজ কুমার। সহজ টার্গেট তাড়া করতে মাঠে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ৩৯.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য অর্জন করে এবং ২২২ রান তুলে ম্যাচে জয়লাভ করে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেন ব্র্যান্ডন কিং। ওমানের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন বিলাল ও কলিমুল্লাহ। তবে এদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ভালো হয়নি এবং সাত রানে ক্যারেবিয়ান দলটি প্রথম ধাক্কা খায়। মাত্র চার রান করে সাজঘরে ফিরে যান জনসন চার্লস। তবে এর পর ব্র্যান্ডন কিং ও কেসি কার্টি (২৯) দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন এবং দ্বিতীয় উইকেটে ৮৯ বলে ৮০ রানের জুটি গড়ে তোলে। এরফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল লড়াইয়ে ফিরে আসে। এরপর তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক শাই হোপের সঙ্গে ১০৬ বলে ৯৬ রানের জুটি গড়েন ব্র্যান্ডন কিং।
এই ম্যাচে কিং তাঁর অভিজ্ঞতার পূর্ণ ব্যবহার করেন এবং দলকে জেতাতে স্মরণীয় ইনিংস খেলেন। ৯৬.১৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করার সময় তিনি ১০৪ বলে ১০০ রান করেন। এই ইনিংসে কিং ছক্কা না মারলেও ১৫টি চার হাঁকিয়েছেন। এটি ছিল ব্র্যান্ডন কিং-এর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এই ফর্ম্যাটে এখনও পর্যন্ত ৬টি হাফ সেঞ্চুরিও করেছেন তিনি। কিং এখন পর্যন্ত ৬টি কোয়ালিফায়ারে ৩৫.৭১ গড়ে ২৫০ রান করেছেন।
এদিনের ম্যাচে ওমানের হয়ে লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যান সুরজ একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। নিজের ওডিআই ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফ সেঞ্চুরি করেন সুরাজ। ৮১.৫৪ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করার সময় তিনি ৬৫ বলে ৫৩ রান করেন। এই সময় তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা। এটি ছিল সুরাজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেরা ইনিংস। এই ফর্ম্যাটে এখন পর্যন্ত ২৪ ম্যাচে ২৯.২৯ গড়ে ৪১০ রান করেছেন সুরাজ।
এই ম্যাচে শোয়েব একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। নিজের ব্যাটিং দক্ষতার দুর্দান্ত উদাহরণ উপস্থাপন করেন। তবে অপর প্রান্ত থেকে যথাযথ সমর্থন পাননি তিনি। ৯২.৫৯ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করার সময় তিনি ৫৪ বলে ৫০ রান করেন। এই ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছক্কাও মেরেছেন তিনি। এটি ছিল শোয়েবের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফ সেঞ্চুরি। এই ফর্ম্যাটে শোয়েবও এখন পর্যন্ত ১টি সেঞ্চুরি করেছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।