পঞ্চম দিনের শুরুতেই ঋষভ পন্থ তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাওয়ার পর পরাজয়ের কালো মেঘ দেখা দিয়েছিল ভারতীয় শিবিরে। ২০৯ রানে ইশান্ত শর্মার আউট হওয়ার পর চিন্তা আরও বাড়ে। তবে তারপর মহম্মদ শামি ও জসপ্রীত বুমরাহ যা করলেন, তাতে যে কোন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানেরও গর্ব হবে।
প্রথমে মার্ক উডের আগুনে বাউন্সার সামলালেন, তারপর ধীরে ধীরে ইংল্যান্ড বোলারদের জবাব দিলেন ব্যাটের সাহায্যে। ৮৯ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপে ভারতীয় দুই টেলএন্ডারদের যে শুধুমাত্র ইংল্যান্ড বোলারদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তা নয়, বলের পাশাপাশি মুখের কথা দিয়েও তাঁদের মনসংযোগ নষ্ট করার চেষ্টার করেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। তবে কিছুতেই কিছু কাজ হয়নি। বুমরাহ-শামির অনুশাসন ও অদম্য লড়াইয়ের সামনে অসহায় দেখায় ইংল্যান্ড দলকে। শেষ পর্যন্ত মধ্যাহ্নভোজের পর বিরাট কোহলি ভারতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করার সিদ্ধান্ত নিলে ৮৯ রানে অটুট থাকে দুই ভারতীয় ফাস্ট বোলারের ব্যাটিং পার্টনারশিপ।
ঘটনাক্রমে এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে ভারতীয় দলের হয়ে লর্ডসে এক অনন্য নজির গড়লেন শামি-বুমরাহ। ক্রিকেটের মক্কায় এটিই ভারতের হয়ে নবম উইকেটে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। এর আগে মদন লাল ও কপিল দেবের (নবম উইকেটে ৬৬ রান) দখলে ছিল এই কৃতিত্ব। শুধু তাই নয়, বিদেশের মাটিতে কখনও ভারতীয় ৯ ও ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান মিলে এর থেকে বেশি রানের পার্টনারশিপ করেননি।
স্বাভাবিকভাবেই দুরন্ত পার্টনারশিপের পর বুমরাহ-শামি মধ্যাহ্নভোজের সময় সাজঘরে ফিরলে গোটা দল করতালির মাধ্যমে নায়কচিত ভঙ্গিমায় তাঁদের স্বাগত জানায়। নিঃসন্দেহে শামি-বুমরাহর ইংল্যান্ডের সুদক্ষ বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে এই দাঁতে দাত চেপে লড়াই বহুদিন মনে রাখবেন ভারতীয় সমর্থকরা। ব্যক্তিগতভাবে বুমরাহ করেন ৩৪ রান ও শামি নিজের প্রথম অর্ধশতরান করে, ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।