একসময় ‘ফাস্ট বোলার্স ইউনিয়ন’র অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী প্রতিপক্ষের বোলাররা ব্যাট করতে নামলে দলের ফাস্ট বোলাররা তার বিরুদ্ধে বাউন্সার করত না। কিন্তু শনিবার লর্ডসের ময়দানে নিয়মরক্ষা তো দূর বরং জেমস অ্যান্ডারসনকে একের পর এক বাউন্সারে ক্ষত বিক্ষত করেন জসপ্রীত বুমরাহ। ঘটনাটিকে খুব একটা ভাল চোখে নেননি স্টুয়ার্ট ব্রড।
ইংল্যান্ডের হয়ে বহু যুগ ধরেই ১১ নম্বরে ব্যাট করেন অ্যান্ডারসন। তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডকে অল আউট করার লক্ষ্যে ৩৯ বছরের ইংলিশ তারকাকে একের পর বাউন্সার করতে থাকেন বুমরাহ এবং ফলস্রুতিতে একই ওভারে চারটি নো বল করেন ভারতীয় তারকা। তবে বুমরাহের একাধিক বল অ্যান্ডারসনকে আঘাত করে। প্রথম বল জিমির হেলমেটে লাগার পরেও থামেননি বুমরাহ। তার পরেও কয়েকটি শর্ট বল অ্যান্ডারসনের শরীরে লাগে।
দিনের শেষে দুই দল সাজঘরে ফিরে যাওয়ার সময় অ্যান্ডারসনকে বুমরাহর উদ্দেশ্যে কিছু বলতেও দেখা যায়। এরপরেই অ্যান্ডারসনের দীর্ঘদিনের সতীর্থ ব্রড, নাম না করেই অনেকটা হুশিয়ারির সুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, ‘লর্ডসে আজকের (চতুর্থ দিনের) টেস্ট ম্যাচ খেলা দেখার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।’ পোস্টে অ্যান্ডারসন ও বুমরাহের তৃতীয় দিনের শেষে কথোপকথনের একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি।
অনেকটা ব্রডের কথামতোই অফ ফর্মে থাকা চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্কা রাহানের বিরুদ্ধে মার্ক উডকে শর্ট বল নীতি গ্রহণ করতে দেখা যায়। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে ৯০ মাইল বেগে একের পর এক বল ধেয়ে আসে রাহানে ও পূজারার শরীর লক্ষ্য করে। এরপরে অনেকের মনেই কৌতূহল সৃষ্টি হতেই পারে শুধুই কি পরিকল্পনামাফিক বোলিং, নাকি অ্যান্ডারসন-বুমরাহের তৃতীয় দিনের ঘটনার জবাবেই এই পন্থা নেন জো রুট ও তাঁর বোলাররা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।