কানপুরে তৃতীয় দিনের শুরুতেই আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সম্ভবত তাঁর ও নন-স্ট্রাইকার সামনে চলে আসায় অশ্বিনকে সতর্ক কররেন অনফিল্ড আম্পায়ার নীতিন মেনন। সম্ভবত আম্পায়ার সামনের ঘটনা দেখতে পারছিলেন না।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শনিবার অন্যরকম কৌশল নেন অশ্বিন। আরও স্পিনের জন্য স্টাম্পের গা ঘেঁষে বল করছিলেন। তার ফলে আম্পায়ার এবং নন-স্ট্রাইকার্স এন্ডে ব্যাটারের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাতে খুব একটা সন্তুষ্ট হননি অনফিল্ড আম্পায়ার নীতিন। তিনি অশ্বিনের সঙ্গে কথা বলেন। সেই কথোপকথনের সময় অবশ্য অশ্বিনকে যথেষ্ট ক্ষিপ্ত দেখায়। আম্পায়ার এবং অশ্বিনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বাক্যবিনিময় হয়। হাবভাব দেখে মনে হচ্ছিল যে বেশ উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলের অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানেকেও ডাকতে দেখা যায়। তিনিও কথা বলেন। প্রায় তিন ওভার ধরে মেননের সঙ্গে অশ্বিনের কথা চলতে থাকে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা, আম্পায়ারের চলে আসায় দেখতে পারছেন না মেনন। যদিও নিয়ম অনুযায়ী, যতক্ষণ না অশ্বিন পিচের ‘বিপজ্জনক জায়গায়’ চলে আসেন, ততক্ষণ ভারতীয় স্পিনার যে নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করছেন, তা বলা যাবে না বলে মত বিশেষজ্ঞদের। একাংশের মতে, সম্ভবত সেটাই বলছিলেন ভারতীয় তারকা স্পিনার। যিনি সম্ভবত মেননের উপর আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিলেন। ৭৩ তম ওভারে ওভার দ্য উইকেট বল করার সময় টম লাথামের একটি এলবিডব্লুউ আউট দেননি মেনন। ডিআরএসও নেয়নি ভারত। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্টাম্পে লাগছে। তারপর ক্যামেরায় দেখা যায়, বিরক্তি প্রকাশ করে মাঠে লাথি মারছেন অশ্বিন।
তারইমধ্যে অশ্বিন এবং মেনের কথোপকথনের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এক নেটিজেন ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছেন, 'নীতিন বলছেন যে তুমি আমায় দেখতে দিচ্ছ না। রাহানে বলেছেন যে অশ্বিন তো বিপজ্জনক জায়গায় যাচ্ছে না। নীতিন বলছেন যে আমি এলবিডব্লুউয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। অশ্বিন বলছেন, আপনি এমনিতেও কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না।' একজন আবার দাবি করেন, ‘অশ্বিন বলছেন যে এটা ঠিক নয়। আমি নিয়ম দেখেছি। ম্যাচ রেফারির সঙ্গেও কথা বলেছি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।