সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের পর টিম ইন্ডিয়ার সামনে হাতছানি প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ জেতার। পয়া জোহানেসবার্গেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে নতুন ইতিহাস লিখতে চেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। প্রোটিয়া সফরে এখনও প্রর্যন্ত একমাত্র ওয়ান্ডারার্সেই ২টি টেস্ট জিতেছিল ভারত। যদিও সেটা আপাতত সম্ভব হল না। ওয়ান্ডারার্সে ভারতকে হারিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচের সেরা এলগার
প্রথম ইনিংসে ২৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস খেলে জোহানেসবার্গ টেস্টের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ডিন এলগার।
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত প্রথম ইনিংস: ২০২ (লোকেশ রাহুল ৫০, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৪৬, মারকো জানসেন ৩১/৪)।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ২২৯ (কিগান পিটারসেন ৬২, তেম্বা বাভুমা ৫১, শার্দুল ঠাকুর ৬১/৭)।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ২৬৬ (অজিঙ্কা রাহানে ৫৮, চেতেশ্বর পূজারা ৫৩, কাগিসো রাবাদা ৭৭/৩)।
দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংস: ২৪৩/৩ (ডিন এলগার অপরাজিত ৯৬, রাসি ভ্যান ডার দাসেন ৪০, অশ্বিন ২৬/১)।
ম্যাচের ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে জেতালেন এলগার
ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন ক্যাপ্টেন ডিন এলগার। জোহানেসবার্গ টেস্টে দাপুটে জয় তুলে নিয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪০ রানের। ৬৭.৪ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় তারা। এলগার ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮৮ বলে ৯৬ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তেম্বা বাভুমা ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৫ বলে ২৩ রান করে নট-আউট থেকে যান। ১ দিন বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ১১ রান
অযথা দেরি করতে চায় না দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ দিনের শেষবেলাতেই জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া প্রোটিয়ারা। তাই ঝড়ের গতিতে রান তুলে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গেলেন এলগাররা। ৬৫ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২২৯/৩। জয়ের জন্য তাদের দরকার মাত্র ১১ রান। সিরাজের শেষ ওভারে ১৮ রান ওঠে। এলগার ৮৯ ও বাভুমা ১৬ রানে ব্যাট করছেন।
২০০ ছুঁল দক্ষিণ আফ্রিকা
৬২ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ ইনিংসে ২০০ রানের গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলে। তাদের স্কোর ২০০/৩। জয়ের জন্য মাত্র ৪০ রান দরকার দক্ষিণ আফ্রিকার। এলগার ব্যাট করছেন ৭৩ রানে। ১০ রানে অপরাজিত রয়েছেন বাভুমা।
জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ৪৮ রান
৬০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের শেষ ইনিংসে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৯২ রান তুলেছে। সুতরাং, জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ৪৮ রান। ডিন এলগার ৭২ রানে অপরাজিত রয়েছেন। তেম্বা বাভুমা ব্যাট করছেন ব্যক্তিগত ৪ রানে।
দাসেনকে ফেরালেন শামি
৫৩.৬ ওভারে শামির বলে পূজারার হাতে ধরা পড়েন ভ্যান ডার দাসেন। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯২ বলে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা ১৭৫ রানে ৩ উইকেট হারায়। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান তেম্বা বাভুমা। জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের দরকার ৬৫ রান।
প্রোটিয়াদের দরকার মোটে ৬৬ রান
৫৩ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা ২ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তুলেছে। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন মাত্র ৬৬ রান। হাতে রয়েছে ৮টি উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই জয়ের গন্ধ দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে। ডিন এলগার ৫৮ ও ভ্যান ডার দাসেন ৪০ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ৭৯ রান
আগোছালো বোলিং ভারতের। ঝড়ের গতিতে রান তুলে জয়ের পথে এগিয়ে চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ইনিংসে ৫০ ওভার ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৬১ রান তুলেছে। জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের দরকার আর মাত্র ৭৯ রান। ডিন এলগার ৫৫ ও ভ্যান ডার দাসেন ৩০ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
এলগারের হাফ-সেঞ্চুরি
৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডিন এলগার। ৪৪ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৭ রান তুলেছে। জয়ের জন্য তাদের দরকার ১০৩ রান। এলগার ৫৩ ও দাসেন ১৩ রানে ব্যাট করছেন।
চতুর্থ দিনের খেলা শুরু
গত দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ডিন এলগার ও রাসি ভ্যান ডার দাসেন পুনরায় ব্যাট করতে নামেন চতুর্থ দিনে। ভারতের হয়ে বোলং শুরু করেন জসপ্রীত বুমরাহ। দিনের প্রথম ওভারে ২ রান ওঠে। ৪১ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ১২০/২। জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের দরকার আরও ১২০ রান।
৭টা ১৫ মিনিটে শুরু ম্যাচ
অবশেষে পাওয়া গেল ইতিবাচক আপডেট। ভারতীয় সময় অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে শুরু হবে চতুর্থ দিনের খেলা। শেষ সেশনে খেলা হবে ৩৪ ওভার। খেলা চলবে ভারতীয় সময় রাত ৯টা ৩০ পর্যন্ত। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে রাত ১০টা পর্যন্তও খেলা চালিয়ে যাওয়া হতে পারে।
চায়ের আগেও খেলা শুরু হল না
চতুর্থ দিনের চায়ের বিরতির আগেও খেলা শুরু করা যায়নি। সুতরাং বৃষ্টিতে ভেস্তে যায় দ্বিতীয় সেশনের খেলাও। বৃষ্টি থামার পর সুপারসপার মাঠ থেকে জল তুলে ফেলেছে। পিচের ঢাকাও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আম্পায়াররা মাঠ পরিদর্শনে নেমেছেন। শেষ সেশনে খেলা শুরু হবে কিনা, এখনও কোনও আপডেট দেওয়া হয়নি।
লাঞ্চের পরেও শুরু হল না খেলা
দিনের প্রথম সেশন বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে গোটা দিনের খেলা ভেস্তে যাওয়ার। যদিও এখনও আশা রয়েছে শেষ বেলার কিছুটা হলেও ম্যাচ আয়োজনের। আপাতত লাঞ্চের বিরতির পরেও শুরু হল না চতুর্থ দিনের খেলা।
লাঞ্চের আগে শুরু করা গেল না খেলা
বৃষ্টি থামার নাম নেই। কখনও হালকা আবার কখনও ভারি বৃষ্টি জারি জোহানেসবার্গে। তড়িঘড়ি খেলা শুরুর সম্ভাবনা না দেশে আগেভাগে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি নেওয়া হয়নি। যথা সময়েই লাঞ্চ ঘোষণা করা হয়। যদিও লাঞের পরেও যে অবিলম্বে খেলা শুরু করে দেওয়া যাবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই।
পিছিয়ে গেল খেলা শুরুর সময়
বৃষ্টির জন্য নির্ধারিত সময়ে শুরু করা গেল না চতুর্থ দিনের খেলা। আগেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এবার সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, পিছিয়ে যাচ্ছে খেলা শুরুর সময়।
জোহানেসবার্গে বৃষ্টি
পূর্বাভাস ছিলই। সেই মতো টেস্টের চতুর্থ দিনের সকাল থেকেই জোহানেসবার্গে বৃষ্টির দাপট। স্বাভাবিকভাবেই নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ শুরু হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। আশার কথা এই যে, বৃষ্টির পর খেল শুরু হলে ভরাতীয় পেসাররা বাড়তি সাহায্য পেতে পারেন।
রোমাঞ্চকর মোড়ে জোহানেসবার্গ টেস্ট
হাতে আর অল্প রানের পুঁজি। যদিও ওয়ান্ডারার্সের পিচে সাবলীলভাবে রান তোলাও সহজ নয়। এই অবস্থায় ভারতের জয়ের পথে প্রধান বাধা প্রোটিয়া দলনায়ক ডিন এলগার। চতুর্থ দিনের শুরুতেই এলগারের বাধা টপকাতে না পারলে যে ভারতকে পরাজয়ের মুখ দেখতে হবে, তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। আপাতত জোহানেসবার্গে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ভারতীয় বোলাররা।
তৃতীয় দিনের স্কোর
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২৭ রানে পিছিয়ে থাকা ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ২৬৬ রানে। সুতরাং, জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৪০ রানের। শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় দিনের শেষে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১১৮ রান তুলেছে। টেস্ট জিততে শেষ ২ দিনে তাদের দরকার মাত্র ১২২ রান। ভারতকে জো'বার্গ টেস্ট জিততে হলে তুলে নিতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার ৮টি উইকেট। ভারতের জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার। তিনি ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২১ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। ৩৭ বলে ১১ রান করে নট-আউট রয়েছেন রাসি ভ্যান ডার দাসেন।
দ্বিতীয় দিনের স্কোর
ভারতের ২০২ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ২২৯ রানে। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২৭ রানে পিছিয়ে থাকা টিম ইন্ডিয়া দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৮৫ রান তোলে। সুতরাং, ভারতের হাতে লিড ছিল ৫৮ রানের।
প্রথম দিনের স্কোর
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভারত প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ২০২ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৩৫ রান তোলে। ভারতের থেকে ১৬৭ রানে পিছিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।