জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অধিনায়ক ডিন এলগার এবং কিগান পিটারসেন শুরুটা বেশ মজবুত করেছিলেন। প্রথম দিনের শেষবেলায় এডেন মার্করাম আউট হওয়ার পর ৭৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেছিলেন পিটারসেন এবং এলগার। তারপরেই শার্দুল ঠাকুর ম্যাচের গতি সম্পূর্ণরূপে বদলে দেন।
প্রথমে ঋষভ পন্তকে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এলগার। ক্রিকেটের পরিভাষায় বারবার শোনা যায়, এক উইকেট পড়লে দুই বা তিন উইকেটও দ্রুত পড়তে পারে। ঠিক সেটাই সত্যি হল। ওয়ান্ডারার্সে জ্বলে উঠলেন ‘লর্ড’। এলগারের পর একে একে সাজঘরে ফেরত পাঠালেন সেট পিটারসেন এবং রাসি ভ্যান ডার দাসেনকে। বিশেষত গতকাল, দিনের শেষের দিকে মহম্মদ সিরাজ চোট পাওয়ায় চতুর্থ শার্দুলের বল হাতে পারফর্ম করাটা টিম ইন্ডিয়ার জন্য ভীষণ জরুরি ছিল এবং শার্দুল ঠিক যা করেন, তেমনই তাঁর ‘গোল্ডেন আর্মে’র কামাল দেখিয়ে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন।
এখনও অবধি ১০টি টেস্ট খেলা শার্দুল সাতবার এক ইনিংসে দুই বা ততোধিক উইকেট নিয়েছেন। অনেক সময়ই তাঁর সম্প্রতি ব্যাটিং দক্ষতায় বল হাতে তাঁর প্রতিভা ঢাকা পড়ে গিয়েছে। তবে ওয়ান্ডারার্সে ফের একবার বোলার শার্দুল নিজের জাত চেনালেন। প্রিয় ‘লর্ড’ ময়দানে আগুন ঝড়ালে সোশ্যাল মিডিয়া কী করে চুপ করে বসে থাকে। শার্দুলের বোলিং পারফরম্যান্সে উত্তাল নেটিজেনরা। প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে জনগণ সকলেই মজে শার্দুল জাদুতে।
প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার শার্দুলের সাফল্যের পর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘লর্ড শার্দুল এবং ভারতীয় দল স্বচ্ছভাবে ক্রিকেট খেলায় বিশ্বাস করে। তাই লর্ড নতুন ব্যাটারের বিরুদ্ধে বল করেন না। একমাত্র পার্টনারশিপ তৈরি করে ব্যাটাররা সেট হয়ে গেলে তবেই লর্ডকে ডাকা হয়। তা সত্ত্বেও সেট ব্যাটারদের লর্ড আউট করেন।’ কেউ তাঁর পার্টনারশিপ ভাঙার দক্ষতার কথা মনে করিয়ে দেন, তো কারুর মতে ব্যাটারদের আউট করতে শার্দুলের বিশেষ ডেলিভারির প্রয়োজন হয় না, ও বল করলেই ব্যাটাররা এমিতেই আউট হয়ে যায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।