কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান আসে যে ব্যাটটি দিয়ে, সেটি সব ক্রিকেটারের কাছেই স্পেশাল হয়। যদিও শুভমন গিলের কাছে বিষয়টি তেমন নয় মোটেও। কেরিয়ারের প্রথম ওয়ান ডে তথা আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি তাঁর কাছে স্পেশাল। তবে সামনের ম্যাচগুলোয় এমন বড় ইনিংস আরও খেলতে হবে বুঝেই নিজের স্পেশাল ব্যাটটিকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছনোর আগেই কিটব্যাগে তুলে রাখার জন্য পাঠিয়ে দেন সতীর্থর হাত দিয়ে।
আসলে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছনোর পরে ব্যাট বদল করেন গিল। সচরাচর সেঞ্চুরি করার উদ্দেশ্য নিয়ে সেরা ব্যাট ব্যবহার করেন সব ব্যাটসম্যানরাই। গিল ম্যাচের শেষে হদিশ দিলেন, তিনি প্রথমে যে ব্যাটটি নিয়ে খেলছিলেন, সেটি অত্যন্ত ভালো ব্যাট। তাই হাফ-সেঞ্চুরি করার পরেই সেই ব্যাটটিকে বাঁচিয়ে রাখতে সাজঘরে ফেরত পাঠান। বদলে অন্য ব্যাট চেয়ে নেন খেলার জন্য।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সেরা ব্যাটটিকে বাঁচিয়ে রেখেও শুভমন কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান সংগ্রহ করে নেন হারারে স্পোর্টস ক্লাবে। শুধু শতরান করেন বলা ভুল হবে, বরং রেকর্ড গড়ে মাঠ ছাড়েন বলাই শ্রেয়। আসলে জিম্বাবোয়েতে কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যানের খেলা এটিই সব থেকে বেশি রানের ওয়ান ডে ইনিংস। গিল তৃতীয় ম্যাচে ১৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯৭ বলে ১৩০ রান করে আউট হন।
আরও পড়ুন:- IND vs ZIM 3rd ODI: শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস জয়, জিম্বাবোয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে গিল বলেন, ‘আমি ডট বল খেলার হার কমানোর চেষ্টা করে গিয়েছি। জোরে বল মারতে না চেয়ে আমি টাইমিং করার দিকে নজর দিয়েছি। তাতেই সাফল্য এসেছে।’
পরক্ষণেই গিল বলেন, ‘ব্যাটটি খুব ভালো ছিল। তাই আমি হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরে ব্যাট বদলে নিই। আসলে আমি ওই ব্যাটটিকে ভবিষ্যতের জন্য বাঁচিয়ে রাখতে চাইছিলাম।’
শেষে নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের প্রথম শতরান প্রসঙ্গে গিল বলেন, ‘কেরিয়ারের প্রথম শতরান সব সময় স্পেশাল হয়। আমি তিনবার নব্বইয়ে আটকে গিয়েছি। তাই মনেপ্রাণে চাইছিলাম সেঞ্চুরি করতে।’
এখন দেখার যে, গিল নিজের স্পেশাল ব্যাটটি দিয়ে ভবিষ্যতে এমনই দুর্দান্ত সব ইনিংস উপহার দিতে পারেন কিনা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।