একজন দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে বসেছিলেন। কিছুতেই প্রথম একাদশে সুযোগ মিলছিল না। অপরজন অস্ট্রেলিয়া সফরের শুরুতেই বাবাকে হারিয়েছিলেন। কিন্তু দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং বাবার স্বপ্নপূরণের জন্য দেশে ফিরে যাননি। মেলবোর্নের ঐতিহাসিক বক্সিং ডে টেস্টের সকালে সেই ভালোবাসা, দায়বদ্ধতা এবং ধৈর্যের সুফল পেলেন শুভমন গিল এবং মহম্মদ সিরাজ। টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হল দুই তরুণ তুর্কির।
শুক্রবারই ভারতীয় দলের তরফে জানানো হয়েছিল, অভিষেক হতে চলেছে গিল এবং সিরাজের। শনিবার ঐতিহাসিক দিনে তাঁদের হাতে টেস্ট ‘ক্যাপ’ তুলে দেওয়া হয়। গিলের হাতে ভারতের ২৯৭ নম্বর টেস্ট ‘ক্যাপ’ তুলে দেন ভারতের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। গিলের চোখমুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, এই দিনটার জন্য কতদিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন। সম্ভবত কিছুটা আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন। যে প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান টেস্ট দলে সুযোগ পেলেও প্রথম একাদশে জায়গা করতে পারছিলেন না। শেষপর্যন্ত বক্সিং ডে টেস্টের ঐতিহাসিক দিনে তাঁর স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।
একইভাবে স্বপ্নপূরণ করেছেন সিরাজ। নিজের থেকেও বেশি বাবা মহম্মদ ঘউসের। যিনি দেশের জার্সিতে ছেলেকে খেলতে দেখার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করতেন। ছেলেকে আরও ভালো ক্রিকেট খেলানোর লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন অটোচালক বাবা। কিন্তু আইপিএল খেলে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে আকস্মিকভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই খবরে বিচলিত হয়েছিলেন সিরাজ। কিন্তু বাবার স্বপ্নপূরণের জন্য ফিরে যাননি দেশে। প্রিয় বন্ধু বাবার স্বপ্নপূরণে থেকে যান অস্ট্রেলিয়ায়। শনিবার মেলবোর্নে সেই বাবার স্বপ্নপূরণ করলেন সিরাজ। যিনি প্রমাণ করলেন, হায়দরাবাদের একেবারে হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেও ভারতের জার্সি পরা যায়। শুধু দরকার লড়াই, আবেগ, ভালোবাসা, মনের জোর এবং ধৈর্যের।
সিরাজের হাতে ভারতের ২৯৮ নম্বর টেস্ট ‘ক্যাপ’ তুলে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি বলেন, 'প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এবং ইন্ডিয়া এ দলের হয়ে লড়াই করে এই টেস্ট ক্যাপ আদায় করে নিয়েছ তুমি। এই টেস্ট ক্যাপের জন্য তুমি একনিষ্ঠ ছিলে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।