ভারতের স্পিন বোলিংয়ের ইতিহাসে তিনি অন্যতম সেরা পারফর্মার। অনিল কুম্বলে ও হরভজন সিং পরবর্তীতে ভারতীয় স্পিন বোলিং বিভাগকে নিজের কাঁধে করে টেনেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। শুধুমাত্র বল নয় ব্যাট হাতেও টেস্টে শতরান পর্যন্ত রয়েছে তার।
রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গী করে একের পর এক ম্যাচে ভারতকে এনে দিয়েছেন সাফল্য। বল হাতে ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটে যথেষ্ট ভাল পাঅরফরমেন্স তার। আইপিএলে ও বল হাতে তাঁর পারফরম্যান্স যথেষ্ট ঈর্ষনীয়। আগের দুই মরসুমে পঞ্জাবকে নেতৃত্ব দেওয়ার পরে এই মরসুমের নিলামে তাকে দলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। করোনার কারণে ভারতের বদলে এবারের আইপিএল আমীরশাহিতে অনুষ্ঠিত হলেও বল হাতে কিন্তু সমান সফল তিনি। প্রথম ম্যাচে কাঁধে চোট পাওয়ায় পরে দুর্দান্ত কামব্যাক ঘটে তাঁর।
২০২০ মরসুমে আইপিএলে তিনি মোট ২৬৪ টি বল করে ৩৩০ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ১৩ টি উইকেট। তার সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ৪ ওভারে ২৯ রানে ৩ উইকেট। এছাড়াও তার আইপিএল ক্যারিয়ারে মোট ৩১৮৮ বল করে দিয়েছেন মাত্র ৩৬৪০ রান। নিয়েছেন মোট ১৩৮ টি উইকেট। তার সেরা বোলিং ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট। শুধু আইপিএলেই নয় ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়েও টি-২০ তে যেটুকু সুযোগ পেয়েছেন সেখানে নিজের সেরাটা নিংড়ে দিয়েছেন। ২০১০-১৭ সালে তিনি ভারতের হয়ে ১৭১ ওভারে ১০২৬ টি মোট বল করেছেন। রয়েছে ২টি মেডেন।২২.৯৪ গড়ে এবং ১৯.৭৩ স্ট্রাইক রেটে নিয়েছেন ৫২ টি উইকেট। ইনিংসে ৪টি উইকেট নিয়েছেন ৮ বার। তার সেরা বোলিং ৮ রানে ৪ উইকেট নেওয়া।
এহেন ঈর্ষনীয় পারফরম্যান্স এর পড়েও অস্ট্রেলিয়ার সফরে ভারতের টি-২০ ও ওডিআই দলে জায়গা পাননি অশ্বিন। রোহিত,সূর্যকুমারদের বাদ পড়া যতটা হাইলাইটেড হয়েছে তারটা বিন্দুমাত্র ও হয়নি। তার প্রতি ভারতীয় বোর্ড শুধু নয় ভারতীয় মিডিয়াও করেছে বিমাতৃসুলভ আচরণ। আইপিএল হোক বা দেশের জার্সি যখন সুযোগ পেয়েছেন নিজের সেরাটা দিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী এই স্পিনার। তারপরেও তার ভাগ্যে এমন ট্রিটমেন্ট জোটা খুব দুঃখজনক।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।