শুভব্রত মুখার্জি
আইপিএল ২০২০-তে কোনও দল যদি যথাযথ কামব্যাক করে থাকে, তা হল কেএল রাহুলের নেতৃত্বাধীন কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। পরপর ৫টি ম্যাচ হারার পরে টানা ৪ ম্যাচে জয় এখনও তাদের প্লে-অফে যাওয়ার আশা জাগিয়ে রেখেছে। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে তারা পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
শনিবার রাতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তারা রুদ্ধশ্বাস জয় তুলে নিয়েছে। যখন মনে হয়েছিল ওয়ার্নাররা হাসতে হাসতে ১২৭ রান তাড়া করে জিতে যাবেন, তখন ক্রিস জর্ডনদের ভাবনা ছিল ভিন্ন। ২ ওভারে ১৭ রান করতে হবে হায়দরাবাদের এমন অবস্থায় ম্যাচের পেনাল্টিমেট ওভারে মাত্র ৩ রান দেন জর্ডন। শেষ ওভারে জেতার জন্য তাদের ১৪ রান দরকার ছিল, ঠিক তখন আর্শদীপের বুদ্ধিমত্তার সাথে বোলিং পঞ্জাবকে কাঙ্খিত জয় এনে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়কেটা ম্যাচে জেতার পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ হেরে না গেলে এতদিনে রাহুলরা প্লে-অফে চলে যেতেন।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে উঠে রাহুল বলেন ‘আমরা জেতাটা অভ্যাসে পরিণত করছি। যা খুবই ভাল লক্ষণ। এই জয়ে আমি বাকরুদ্ধ। প্রত্যেকে এই জয়ে অবদান রেখেছে। ক্যামেরার সামনে যারা আছেন তারা তো পরিশ্রম করছেনই, কিন্তু পিছন থেকে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাদের ভূমিকাও অনস্বীকার্য। সাপোর্ট স্টাফদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। তাদের জন্যই মূলত প্রত্যেকটি ক্রিকেটার তাদের সেরাটা দিনের শেষে বের করে আনছে।'
পঞ্জাব অধিনায়ক আরও বলেন, 'আমি আর মনদীপ প্রথম ওভারটা খেলার পরেই বুঝে যাই, এই ম্যাচ হাই স্কোরিং হবে না। আমরা ১৬০-১৭০ টার্গেট করেছিলাম। ওপেনারদের ক্ষেত্রে খেলাটা একটু সহজ। হায়দরাবাদ দলের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। অসুবিধায় পড়ছিল পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা। আর্শদীপ, জর্ডনরা আজ বল হাতে যে পারফরম্যান্সটা করল, তা নিঃসন্দেহে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।