কেমন দল করবে আইপিএলের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি গুজরাট টাইটানস? নিলামের আগে থেকেই সে দিকেই নজর ছিল প্রত্যেকের। তারা লকি ফার্গুগন (১০ কোটি), রাহুল তেওয়াটিয়াদের (৯ কোটি) বড় অঙ্কের বিনিময়ে কিনলেও জেসন হোল্ডারের মতো প্লেয়ারকে আবার তাঁর বেস প্রাইস ২ কোটিতেই পেয়ে গিয়েছে। আবার মহম্মদ শামিকে তারা দলে নিয়েছে ৬ কোটি ২৫ লক্ষতে। বাংলার থেকে শামি ছাড়া তারা কিপার ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহাকেও নিয়েছে।
যে টিমটা গুজরাট সুপার জায়ান্টস তৈরি করেছে, সেই দলের আসল শক্তি কী হতে চলেছে? কী দূর্বলতা রয়ে গেল আমদাবাদের টিমের? কী হতে পারে গুজরাটের শক্তিশালী প্রথম একাদশ? জেনে নেওয়া যাক।
শক্তি: জেসন রয়কে বেস প্রাইসে কেনা একটি বড় ঘটনা। যদিও লকি ফার্গুসনের জন্য বেশি টাকা খরচ করেছে গুজরাট টাইটানস। তবে তিনি কিন্তু নিজের ছন্দে থাকলে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। টাইটানসের জন্য বড় প্রশ্ন হল, বিজয় শঙ্কর এবং আনক্যাপড অভিনব মনোহর টপ অর্ডারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এবং হার্দিকের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি কর দিতে পারেন কিনা।
দুর্বল পয়েন্ট: হার্দিক পান্ডিয়া, রশিদ খান এবং শুভমান গিলের মতো ত্রয়ী ম্যাচ উইনার থাকা সত্ত্বেও সে ভাবে দলটা গুছিয়ে উঠতে পারেনি গুজরাট। তাদের স্কোয়াড গঠনও ছিল অদ্ভূত। তারা রাহুল তেওয়াটিয়ার উপর প্রচণ্ড ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যিনি সে ভাবে ছন্দে নেই। সৌভাগ্যবশত তাদের প্রাথমিক বিডগুলি তাও ঠিকঠাক ছিল।
ব্যাটিংয়ে অনভিজ্ঞতা- এটাও তাদের দুর্বল পয়েন্টে শুরুর দিকের উইকেট পড়ে গেলে গুজরাটকে কিন্তু বড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে। হার্দিক যদি বল করতে না পারেন, তাহলে পঞ্চম বোলারের কোটাও সমস্যায় ফেলতে পারে।
গুজরাটের সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: জেসন রয়, শুভমন গিল, বিজয় শঙ্কর, অভিনব মনোহর, ম্যাথু ওয়েড (উইকেটকিপার), হার্দিক পান্ডিয়া, রাহুল তেওয়াটিয়া, রশিদ খান, আর সাই কিশোর, লকি ফার্গুসন এবং মহম্মদ শামি।
এই দলে রয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহাও। ফলে ওয়েড পাকিস্তান সফরে থাকাকালীন প্রথম কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারবেন না। সে সময়ে প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে পারেন ঋদ্ধি। অন্য কোনও বিদেশিকে দেখা যেতেই পারে প্রথম একাদশে। ওয়েড এলে রদবদল হবে একাদশে। ঋদ্ধিকে দিয়ে ওপেন করানোও হতে পারে।