১২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৬২ বলে অপরাজিত ১০৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন লোকেশ রাহুল। ওয়াংখেড়েতে লখনউ বনাম মুম্বই ম্যাচে দু'দলের বাকি ক্রিকেটারদের কেউই স্বচ্ছন্দে রান সংগ্রহ করতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই লখনউ অধিনায়ক বাকিদের থেকে কতটা ব্যতিক্রমী ক্রিকেট খেলেন, সেটা সহজেই বোঝা যায়।
এমন দু্র্দান্ত পারফর্ম্যান্সের পরে ম্যাচের বেশিরভাগ ব্যক্তিগত পুরস্কার জেতেন রাহুল। সঙ্গত কারণেই ম্যাচ অফ দ্য ম্যাচের খেতাব ওঠা তাঁর হাতে। সেই সঙ্গে সুপার স্ট্রাইকার অফ দ্য ডে, গেম চেঞ্জার অফ দ্য ম্যাচ, সব থেকে বেশি ছক্কা, মোস্ট ভ্যালুয়েবল অ্যাসেট অফ দ্য ম্যাচ এবং সব থেকে বেশি চারের পুরস্কারও হাতে ওঠে রাহুলের। এই সব ব্যক্তিগত পুরস্কার মূল্য বাবদ অন্তত ৬ লক্ষ টাকা পকেটে ঢোকে লোকেশের।
ম্যাচের শেষে এই প্রসঙ্গে মজাদার মন্তব্য করেন রাহুল। আসলে তিনি জানতেন যে, ম্যাচে তাঁর দল নির্ধারিত সময়ে বোলিং কোটা শেষ করতে পারেনি। তাই স্লো ওভার-রেটের দায়ে পড়তে হবে তাঁদের। ফলে জরিমানাও হবে বিস্তর। তাই সঞ্চালক হর্ষ ভোগলে যখন জানতে চান যে, সব বিভাগেই সেরা হয়ে কেমন লাগছে, রাহুল জবাব দেন, ‘স্লো ওভার-রেটের জন্য যা জরিমানা করা হবে, এই পুরস্কারগুলি থেকেই সেটা পুষিয়ে নিতে হবে আমাকে। গত ম্যাচেও জরিমানা হয়েছে, এই ম্যাচেও ওভার-রেটের জন্য নিশ্চিত টাকা কাটা হবে।’
নিজের অনবদ্য স্ট্রাইক-রেটের জন্য লোকেশ দলের বাকিদের কৃতিত্ব দিলেন অন্যভাবে। তাঁর দাবি, দলের মধ্যে যে রকম ব্যাটিং গভীরতা রয়েছে, তাঁর জন্য হাত খুলে খেলতে পারছেন। রাহুল বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিংয়ে গভীরতা রয়েছে। হোল্ডার ৮ নম্বরে ব্যাট করতে আসেছে। ও কদাচিৎই ব্যাট করার সুযোগ পাচ্ছে। যথন আপনার ব্যাটিং লাইনআপে এমন গভীরতা থাকে, তখন হাত খুলে খেলা যায় এবং ঝুঁকে নেওয়ার সুযোগ থাকে।’
বাস্তবিকই, ম্যাচের শেষে স্লো-ওভার রেটের দায়ে বিশাল অঙ্কের জরামানা করা হয় লোকেশ রাহুলের। নিস্তার পাননি লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে এই ম্যাচে মাঠে নামা বাকি ১০ ক্রিকেটারও। জরিমানা করা হয়েছে তাঁদেরও।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।