২০২২ আইপিএল-এ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জন্য উত্থান-পতনে মরশুম ছিল। দুটি পরাজয় দিয়ে মরশুম শুরু করেছিল কেন উইলিয়ামসনরা। কিন্তু তারপরে তারা পরবর্তী পাঁচটি ম্যাচ জিতে প্লে অফের দৌড়ে পৌঁছানোর দাবি রেখেছিল। এরপরে হায়দরাবাদ তাদের পরের পাঁচটি ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু তারা মুম্বইকে পরাজিত করে নিজেদের প্লে অফে পৌঁছানোর আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল। কিন্তু গুজরাটকে যখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর হারিয়েছে তখনই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে হায়দরাবাদ।
হায়দরাবাদের হয়ে তাদের ফাস্ট বোলাররা দারুণ আক্রমণ শুরু করেছিলেন। উমরান মালিক তার দ্রুতগতির বোলিং দিয়ে সকলের মনোযোগ কেড়েছেন। অন্যদিকে ভুবনেশ্বর কুমার এবং টি নটরাজন ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করেছেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নিজেদের শেষ ম্যাচে ১৯তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমার একটি উইকেট মেডেন বোলিং করেছিলেন। যা একটি খেলা পরিবর্তনকারী হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল।
প্রাক্তন টিম ইন্ডিয়ার প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী আইপিএলে ভুবনেশ্বরের চিত্তাকর্ষক পারফরম্যান্সের বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। শাস্ত্রী বলেছেন যে তিনি প্রায়শই সিনিয়র পেসার ভুবনেশ্বর কুমারের সঙ্গে তার ফিটনেস নিয়ে তর্ক করতেন। শাস্ত্রীর মতে, ভুবনেশ্বর ফিট থাকলে সব ফর্ম্যাটেই ভারতের নিয়মিত সদস্য হতে পারেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সময় ভারতীয় দলের হয়ে শেষ খেলে ছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। শেষবার তিনি ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে খেলেছিলেন ২০১৮ সালে। সেই সময়ে ভারত জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেছিল।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে শাস্ত্রী বলেন, ‘আমি মোটেও অবাক নই। আমি যখনই ভুবির (ভুবনেশ্বর কুমার) সঙ্গে দেখা করি, আমি তার সাথে তর্ক করি। আমি বলি, যদি সে শুধুমাত্র তার ফিটনেসের দিকে মনোযোগ দিতে পারে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে পারে... খেলার সব ফর্ম্যাটে তার অভিজ্ঞতা এবং ক্ষমতা অসাধারণ। যতবারই আমরা ইংল্যান্ড বা নিউজিল্যান্ড সফর করেছি, ছেলেটি ছিল আনফিট।’ প্রাক্তন কোচ বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, ‘গত কয়েক বছরে আপনি নিজেই ৫০টি লাল বলের উইকেট হারিয়েছেন।’ যদি তিনি ফিট থাকেন তবে তিনি ভারতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হতেন। সানরাইজার্সকে ভুলে যান।’