লক-ডাউনের মতোই বিভিন্ন ক্ষেত্রে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি রাজ্যে। বাদ পড়েনি খেলাধুলোর জগৎও। করোনার প্রকোপ ক্রমশ বাড়তে থাকায় আয়োজন করা যাবে না কোনও খেলাধুলোর আসর। স্বাভাবিকভাবেই অনিশ্চয়তার বাতাবরণ ইডেনে আইপিএল ম্যাচ ঘিরে।
শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভারতের করোনা পরিস্থিতি একেবারেই ভালো নয়। দিন দিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনের আক্রান্তের সংখ্যার রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে তারপরের দিনের সংখ্যা। অবস্থা এতটা ভয়াবহ যে দিনে গড়ে ভারত জুড়ে প্রায় ৪ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন।
ফলে অমানুষিক চাপের মধ্যে পড়ছে হাসপাতালগুলি। সেখানে থাকা ডাক্তার, নার্সদের একেবারে ত্রাহি ত্রাহি রব। অক্সিজেন, জীবনদায়ী ওষুধ, জীবনদায়ী ইনজেকশন সবকিছুর স্বল্পতা দেখা দিয়েছে সারা দেশ জুড়ে। পশ্চিমবঙ্গও তার ব্যাতিক্রম নয়। এখানে প্রায় গোটা ৪০ দিন ধরে ৮ দফাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়া। যার প্রভাব পড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরীখে। কলকাতা এবং তার লাগোয়া জেলা উত্তর ২৪ পরগনার অবস্থা খুব খারাপ।
এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে তার যে বিরূপ প্রভাব ক্রীড়া জগতের উপর পড়বে তা বলাই বাহুল্য। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের করোনা নির্দেশিকার কথা মাথায় রেখে রাজ্যে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে স্পষ্টত উল্লেখ করা হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সমস্ত ধরনের ক্রীড়ামূলক অনুষ্ঠান আপাতত আয়োজন করা যাবে না। বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত স্পোর্টস কমপ্লেক্স। ব্যবহার করা যাবে না জিমও।
ফলে বলা যেতেই পারে কলকাতা লিগ-সহ অন্যান্য যেসব প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা রাজ্য বিভিন্ন ক্রীড়াসংস্থাগুলো ভাবছিল তা আপাতত বিশ বাও জলে। বিশেষ করে ইডেনে আইপিএল ম্যাচগুলির ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা। আগামী ৯ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত ইডেনে আইপিএলের ১০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এখন দেখার যে, দর্শকশূন্য ইডেনে আইপিএল আয়োজনের জন্য বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয় কিনা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।