ইরফান পাঠানের যখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল, তখন বাঁ-হাতি পেসারের দক্ষতা এবং তাঁর সুইং করার ক্ষমতা দিয়ে তিনি ব্যাটসম্যানদের চমকে করে দিয়েছিলেন। সকলেই সেই সময়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন।
২০০৩ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে টেস্ট ম্যাচের হাত ধরে ইরফানের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল। এবং এর পরে খুব তাড়াতাড়ি তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের তারকা হয়ে ওঠেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইরফান পাঠান তাঁর ব্যাটিং দক্ষতাও উন্নত করেছিলেন এবং শীঘ্রই ভারতের প্রাক্তন কোচ গ্রেগ চ্যাপেল তাঁকে একজন অলরাউন্ডার হিসেবে দাবি করেছিলেন। যাইহোক তিনি ২৯টি টেস্ট, ১২০টি ওয়ানডে এবং তাঁর ২৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে পাঠান ২০১২ সালের পর আর ভারতীয় দলে সুযোগ পাননি।
আরও পড়ুন: টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের একাদশে প্রাক্তন সতীর্থকে দেখতে চান না ইরফান!
ইরফান পাঠান, যিনি বর্তমানে লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে ভিলওয়ারা কিংসের হয়ে খেলছেন, মাত্র ২৯ বছর বয়সের পর ভারতীয় ক্রিকেট দলে তাঁকে নির্বাচন না করার বিষয়ে টুইটারে নতুন করে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন ইরফান ভক্তরা। এক ভক্ত চাঁচাছোলা ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক ভক্ত লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটকে হ্যাশট্যাগ করে লিখেছেন, ‘যত বার আমি এই লিগে ইরফান পাঠানকে দেখছি, তত বারই আমি এমএস এবং তার ম্যানেজমেন্টকে আরও বেশি অভিশাপ দিচ্ছি। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, ইরফান তাঁর শেষ টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক খেলেছিলেন মাত্র ২৯ বছর বয়সে। ৭ নম্বরের জন্য নিখুঁত খেলোয়াড়, যে কেউ ওঁকে ওঁদের দলে নিতে প্রস্তুত ছিল... কিন্তু ভারতীয় দল জাড্ডুকে (রবীন্দ্র জাদেজা) অন্তর্ভুক্ত করেছিল। এমন কী স্টুয়ার্ট বিনিকেও খেলিয়েছে।’ তবে ইরফান পাঠান অবশ্য এই বিষয়ে উদারতা দেখিয়েছেন। জবাবে তিনি লিখেছেন, ‘কাউকে দোষারোপ করবেন না। আপনার ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ।’
আরও পড়ুন: পাঠানের সুইং ও রায়নার ব্যাটিং দেখে ভক্তরাও অবাক! টুইটারে উঠছে শুভেচ্ছার বন্যা
ইরফান ভারতীয় দলের জার্সিতে ২৯টি টেস্ট, ১২০টি ওয়ানডে এবং ২৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি মোট ৩০১টি উইকেট (যথাক্রমে ১০০, ১৭৩ এবং ২৮ উইকেট) নিয়েছেন। ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে শেষবার মাঠে নেমেছিলেন ইরফান। তার পর কয়েক বছর ধরে বরোদার প্লেয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ক্রিকেট খেলে গিয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের খেলোয়াড়দের পরামর্শদাতা ছিলেন।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইরফানের দুরন্ত বোলিং আজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। ২০০৬ সালে সালে করাচি টেস্টের প্রথম ওভারে তাঁর হ্যাটট্রিক হয় এবং ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ তাঁর ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ইরফান পাঠান ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সমস্ত ফর্ম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।