আশঙ্কার কালো মেঘ যেন ইস্টবেঙ্গলের উপর থেকে সরতেই চাইছে না। কোয়েস ইনভেস্টর হিসেবে ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরে বেশ টালমাটাল অবস্থা ছিল ইস্টবেঙ্গলের। তখন আইএসএলে খেলার কথা ভাবেননি অতিবড় ইস্টবেঙ্গল ভক্তও। তারপর শুরু হয় দীর্ঘদিনের লড়াই। সেই লড়াইয়ের একেবারে শেষ ল্যাপে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এফএসডিএল কতৃপক্ষের উদ্যোগে স্পনসর হিসেবে পা রাখে শ্রী সিমেন্ট।
আইএসএলও খুলে দেয় বিড পেপার। শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে যৌথভাবে নতুন কোম্পানি খুলে সেই বিডমপেপার জমাও দেয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। স্বয়ং নীতি আম্বানিও ঘোষণা করে দেন ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলে অফিশিয়ালি যোগদানের কথা।
কিন্তু তারপরে ফের জটিলতা । সম্প্রতি ক্লাবে আয়োজিত হয়েছিল স্পেশাল জেনারেল বডি মিটিং। সেখানে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে মত পার্থক্যের কথা ব্যক্ত করেন সমর্থকরা। আর তারপরেই এই নতুন সমস্যার উদ্ভব। ক্লাবের তরফ থেকে যে বন্ড যাওয়ার কথা ছিল ইনভেস্টরের কাছে তা এখনও যায়নি।
একস্ট্রা টাইমকে টেলিফোনিক ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের প্রতিনিধি শ্রেনিক শেঠ জানালেন 'এখন ও অফিশিয়ালি কোনও স্ট্যান্ড নেয়নি ইনভেস্টররা। তবে দু-এক দিন অপেক্ষা করা হবে। সমস্যা না মিটলে বিচ্ছেদ আসন্ন।' এই নিয়ে তারা যে নিজেদের অবস্থান এফএলডিএল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে দিয়েছেন, সেটাও বলেন শ্রেণিক শেঠ।
কিন্তু কি কারণে সমস্যা? রিপোর্ট অনুযায়ী, সমর্থকদের মূলত দুটি পয়েন্টে আপত্তি আছে। ক্লাব ও ইনভেস্টরের সংবিধান একে অপরের থেকে সম্পূর্ণরূপে আলাদা। ফলে দুইপক্ষের মত পার্থক্য হলে কোম্পানির সংবিধানই অগ্রাধিকার পাবে। এছাড়া এতদিন পর্যন্ত সদস্যদের ভোটে কার্যকরী সমিতি তৈরি হত। কোম্পানির শর্তানুযায়ী সদস্যদের অধিকার নতুন বোর্ডের হাতে থাকবে। ফলে এক্সিকিউটিভ কমিটির ভূমিকা কমবে। ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটি ও বিভিন্ন ক্রীড়া বিভাগের সচিবদের ভূমিকাও অনেকটা কমবে। যা মনঃপুত হয়নি লাল-হলুদ সদস্যদের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।