অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে নিয়েছে ভারত। মুম্বইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ১৮৮ রানে অলআউট করে দেয় টিম ইন্ডিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাঁচ উইকেটে জয়লাভ করে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। এই ম্যাচে ভারত এবং ভক্তদের জন্য সুখবর ফর্মে ফিরেছেন কেএল রাহুল। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। তবে একদিনের সিরিজে উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে খেলে অপরাজিত ৭৫ রান করেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি করেন ৪৫ রান। এই দুই ব্যাটারের পারফরম্যান্সে ভর করে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ম্যাচ শেষে রাহুল বলেন, জাদেজার সঙ্গে ব্যাট করা খুব মজাদার।
ম্যাচ পরবর্তী অনুষ্ঠানে কেএল রাহুল বলেন, 'আমাদের প্রথম তিন উইকেট খুব তাড়াতাড়ি পড়ে যায়। খুব সুন্দর বোলিংয়ের মাধ্যমে মিচেল স্টার্ক ভয়ংকর হয়ে ওঠে। আমি আমার সাধারণ ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছি। কয়েকটা বাউন্ডারি মারার পর আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে। আমি শুভমন, হার্দিক এবং জাদেজার সঙ্গে ব্যাট করেছি। আমরা ইতিবাচক ভাবে খেলেছি। খারাপ বলগুলোর থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেছি। নিজের ফুটওয়ার্ক ভালো করে খেয়াল করলেই ভালো রান করা যাবে। জাদেজার সঙ্গে ব্যাটিং করে খুব আনন্দ পেয়েছি।'
তিনি আরও বলেন, 'যখন রবীন্দ্র জাদেজা ব্যাট করতে আসে তারপরেই আমি কয়েকটা লুজ বল পাই। সেটা অভিজ্ঞ বোলারদের হাত থেকেই এসেছে। ডানহাতি ও বাঁহাতি কম্বিনেশন আমাদের জন্য কাজ করতে শুরু করে। জাড্ডু খুব সুন্দর ব্যাট করেছে এবং উইকেট থেকে রান সংগ্রহ করে নিয়েছে। জাদেজা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। ও জানে কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে।'
উল্লেখ্য, পরপর বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে একটা সময় চাপে পড়ে যায় ভারত। সেই সময় জাদেজা এবং কেএল রাহুলের ব্যাটিং ম্যাচ জিতিয়ে দেয় মেন ইন ব্লুকে।
মুম্বই ম্যাচে মহম্মদ শামির অনবদ্য বোলিংয়ের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, 'আমরা যখন শুরু করি তখন আমার মনে হয়নি যে বোলাররা এই উইকেট থেকে বিশেষ সুবিধা পাবে। কিন্তু শামি যখন বল করতে আসে তখন ও অসাধারণ বল করে। যে কোনও দলের জেতার জন্য মাঝের ওভার গুলিতে বিপক্ষ দলের উইকেটের তুলে নেওয়া দরকার।' নিজের উইকেট কিপিংয়ের সম্পর্কে বলেন, 'যেখানে উইকেটে বাউন্স থাকে সেই জায়গায় কিপিং করতে আমার বেশ ভালই লাগে। যেখানে পিচ স্লো এবং বল নিচু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেটা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হয়। চ্যালেঞ্জটা শারীরিকভাবেও নিতে হয়।'