শুভব্রত মুখার্জি: বিদেশের মাটিতে ভারতীয় টেস্ট দলের লোয়ার অর্ডার ব্যাটিং বরাবরের সমস্যার। বলা ভালো মাথাব্যথার কারণও বটে। অতীতে বিদেশের মাটিতে ভারতের পারফরম্যান্স ভালো না হওয়ার পিছনে সবথেকে বড় কারণ ছিল তাদের লোয়ার অর্ডার ব্যাটিং। অতীতের সেই সমস্যা এখনও বর্তমান। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে চলতি টেস্ট সিরিজেও সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। উল্টে ১৯৭৯'র পরে তিন টেস্টের সিরিজে এক লজ্জার নজির গড়ে ফেলল ভারতীয় দল। ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারের ৭-১১ নম্বরের এই সিরিজে গড় রান মাত্র ৯.৬। ১৯৭৯'র পরে যা সবর্নিম্ন।
চলতি কেপ টাউন টেস্টে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের লোয়ার অর্ডারে ৭-১১ পজিশনে খেলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, শার্দুল ঠাকুর, উমেশ যাদব,মহম্মদ শামি এবং জসপ্রীত বুমরাহ। প্রথম ইনিংসে কেপ টাউনে ভারত ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ১৯৮ রানে অলআউট হয়। পন্ত অসাধারণ শতরান করেন। তবে তাকে না টপ অর্ডারের ব্যাটাররা না লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন। যেখানে অশ্বিন করেছেন মাত্র ৭ রান। উমেশ যাদব এবং মহম্মদ শামি দুজনেই ১০ বল খেলে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। সবথেকে বড় সমস্যার বিষয় শার্দুলের ব্যাট থেকে এই সিরিজে কার্যত বলার মতন রান আসেনি। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে শার্দুল ঠাকুর ব্যাট হাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। তার পুনরাবৃত্তি এই সিরিজে সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত কেপ টাউন টেস্টে যেখানে ভারত ম্যাচ এবং সিরিজ জয়ের লড়াই চালাচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ বলে মাত্র ৫ রান করেন শার্দুল। জসপ্রীত বুমরাহ ৫ বলে ২ রান করে মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান। যখন উল্টোদিকে ১৩৬ বলে ১০০ রান করে নট আউট রয়েছেন ঋষভ পন্ত। আর কিছুক্ষণ যদি উইকেটে টিকে থাকার লড়াই চালাতেন ভারতের ৭-১১ নম্বরে নামা ব্যাটাররা। তাহলে বলা যায় নিঃসন্দেহে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারত ২১২ রানের ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যমাত্রা পাশাপাশি আরও টার্গেট দিতে সমর্থ হলেও হতে পারত।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।