গাভাস্করের পরামর্শ মেনে ওয়াংখেড়েতে তাঁরই রেকর্ড স্পর্শ করলেন ময়াঙ্ক

মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে চতুর্থ ওপেনার হিসেবে টেস্টের দুই ইনিংসে ৫০-এর বেশি রান করার নজির গড়লেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল। আর স্পর্শ করলেন সুনীল গাভাস্কর, চেতন চৌহান, কৃষ্ণমাচারিয়া শ্রীকান্তের নজিরকে।

ময়াঙ্ক আগরওয়াল। ছবি: এএনআই

মুম্বই টেস্টে সুনীল গাভাস্করের একটি ছোট্ট পরামর্শই বদলে দিয়েছে ময়াঙ্ক আগরওয়ালের পারফরম্যান্সের গ্রাফটা। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ রান করেন ময়াঙ্ক। সেই সঙ্গে গড়ে ফেলেন নতুন রেকর্ড। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে চতুর্থ ওপেনার হিসেবে টেস্টের দুই ইনিংসে ৫০-এর বেশি রান করার নজির গড়লেন তিনি। আর স্পর্শ করলেন সুনীল গাভাস্কর, চেতন চৌহান, কৃষ্ণমাচারিয়া শ্রীকান্তের নজিরকে।

১৯৭৮ সালে চেতন চৌহান ওয়াংখেড়েতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৫২ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৪ রান করেন। ওই টেস্টেই সুনীল গাভাস্কর প্রথম ইনিংসে ২০৫ রান করেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৩ রান করেন তিনি। আর ১৯৮৭ সালে কৃষ্ণমাচারিয়া শ্রীকান্ত সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেই ওপেন করতে নেমে দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৭১ ও ৬৫ রান করেন। আর চতুর্থ ওপেনার হিসেবে ময়াঙ্ক ওয়াংখেড়েতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১৫০ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ রান করে গাভাস্করদের স্পর্শ করলেন। ৭টি টেস্ট এবং ১৩ ইনিংস পর এই টেস্টে শতরানের মুখ দেখেছিলেন ময়াঙ্ক। তবে মুম্বই টেস্টে জোড়া শতরান করতে না পারার হতাশাটা রয়েই গেল ময়াঙ্কের।

চলতি টেস্টে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় গাভাস্কর নিজেই , তিনি নাকি ময়াঙ্ককে পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যাকলিফ্ট ছোট করার ব্যাপারে। ময়াঙ্কও তাঁর পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করেছেন। এবং মুম্বইয়ে তিনি সাফল্যও পেয়েছেন।