ব্যাট হাতে ব্যর্থ কেদার যাদব। তবে দুর্দান্ত শতরান করে মহারাষ্ট্র প্রিমিয়র লিগে কোলাপুর টাস্কার্সকে জয় এনে দিলেন অঙ্কিত বাউনি। লিগের চার নম্বর ম্যাচে কোলাপুর ৪ উইকেটে হারিয়ে দেয় রত্নাগিরি জেটসকে।
পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে রত্নাগিরি। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৬ রানের সম্মানজনক ইনিংস গড়ে তোলে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরি করেন প্রীতম পাটিল। তিনি ৫টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৬৯ রান করে আউট হন।
এছাড়া ওপেনার তুষার শ্রীবাস্তব ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪০ বলে ৩২ রানের ধীর ইনিংস খেলেন। ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ২৭ রান করেন কিরণ। ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন উইকেটকিপার নিখিল নায়েক। ২৪ বলে ১৮ রান করে নট-আউট থাকেন আজিম কাজি। কোলাপুরের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মনোজ যাদব, শ্রেয়স চাবন, অক্ষয় দারেকর ও তরনজিৎ সিং।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোলাপুর ১৯.৪ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৮১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ২ বল বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করে টাস্কার্স।
দুরন্ত শতরান করে অপরাজিত থাকেন অঙ্কিত বাউনি। তিনি ১১টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৬০ বলে ১০৫ রান করে নট-আউট থাকেন। সুতরাং, অঙ্কিত কোলাপুরকে কার্যত একার হতে জয় এনে দেন বললে মোটেও ভুল বলা হবে না।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পুণেরি বাপ্পার বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে অঙ্কিত ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ বলে ৭২ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। যদিও সেই ম্যাচে হারতে হয় তাঁর দল কোলাপুরকে। অর্থাৎ, চলতি মহারাষ্ট্র প্রিমিয়র লিগের ২টি ম্যাচে মাঠে নেমে একটি হাফ-সেঞ্চুরি ও ১টি সেঞ্চুরি করলেন অঙ্কিত।
এদিন ব্যাট হাতে বড় রানের মুখ দেখেননি কেদার যাদব। ওপেন করতে নেমে তিনি ৬ বলে ৬ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ১টি ছক্কা। এছাড়া সচিন ১৩, নৌশাদ শেখ ৭, সিদ্ধার্থ ১০, তরনজিৎ সিং ২১ ও মনোজ যাদব অপরাজিত ৭ রান করেন। রত্নাগিরির হয়ে একাই ৩টি উইকেট নেন প্রদীপ দাধে। ১টি করে উইকেট দখল করেন বিজয়, নিকিত ও কুণাল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।