শুভব্রত মুখার্জি: চলতি আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস দলে রয়েছেন দীপক চাহার। ভারতীয় এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার শেষ কয়েক মাস ধরে চোট আঘাতের সমস্যায় জর্জরিত। চোট সারিয়ে এবারের আইপিএলে খেলতে নেমেছিলেন তিনি।প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেই ফের চোটের কবলে পড়ে গিয়েছেন তিনি। এক ওভার বল করেছেন মাত্র তারপরেই তিনি ফের চোটের কবলে পড়েছেন। যা দেখে একেবারে রেগে আগুন ভারতের প্রাক্তন হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। পাশাপাশি ভারতের প্রিমিয়র পেসার জসপ্রীত বুমরাহ এখনও চোটমুক্ত হতে পারেননি। এমন আবহে রবি শাস্ত্রীর মতে এইভাবে বারবার চোটের কবলে পড়লে তো এনসিএতে রেসিডেন্ট পারমিট নিতে হবে দীপক চাহারদের! কার্যত কটাক্ষের সুরে এমন কঠিন মন্তব্য করেছেন রবি শাস্ত্রী।
জসপ্রীত বুমরাহ এবং দীপক চাহারের মতন পেসাররা গত এক বছরের মতন সময়ে বেশিরভাগটাই কাটিয়েছেন এনসিএতে অর্থাৎ ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাদেমিতে। দীপক চাহার সম্প্রতি তাঁর পিঠের চোট সারিয়ে ফিরেছেন এনসিএ থেকে। সেই তিনিই আবার চলতি আইপিএলে মাত্র এক ওভার বল করেই পড়েছেন চোটের কবলে। তাঁর হ্যামস্ট্রিংয়ে দেখা দিয়েছে সমস্যা। ফলে প্রশ্ন উঠেছে এনসিএতে গিয়ে চোট সারানোর পর ফের একভাবে চোটে আক্রান্ত হলে এনসিএ যাওয়ার মানেটা কী? এর উত্তরে মন্তব্য করতে গিয়েই এম চাঁচাছোলা ভাষাতে মন্তব্য করেছেন রবি শাস্ত্রী।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে রবি শাস্ত্রী বলেছেন 'গত ৩-৪ বছরে এমন কিছু ভারতীয় ক্রিকেটার রয়েছেন যারা একেবারে এনসিএর স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই তাঁরা ওখানকার রেসিডেন্ট পারমিট পেয়ে যাবে বলে আমার মনে হয়। এটা তো একেবারেই ভালো জিনিস নয়। আমার কাছে বিষয়টা অবিশ্বাস্য। এত বেশিও ক্রিকেট ওরা খেলছে না যে বারবার ওদের চোটের কবলে পড়তে হবে। টানা চারটে ম্যাচ তুমি ক্রিকেটার হয়ে খেলতে পারবে না! তাহলে তুমি এনসিএতে কী করতে যাচ্ছ?'
তিনি আরও যোগ করেন 'যদি তুমি কামব্যাক করতে চাও, তাহলে তিন ম্যাচ বাদেই তুমি ফিরে আসতে পার। তবে তার আগে তোমাকে ফিট হতে হবে। তারপরেই স্থায়ীভাবে ফিরে আসা উচিত। কারণ এইরকম বারবার চোটের ঘটনা দল, সেই ক্রিকেটার, ফ্রাঞ্চাইজি, বিসিসিআই সবার জন্য হতাশার। গভীর চোট লাগতেই পারে তবে প্রতি চার ম্যাচ অন্তর যদি হ্যামস্ট্রিং, কুঁচকির সমস্যা দেখা দেয় তাহলে প্রশ্ন উঠবেই এরা অনুশীলনে কী করে?'