সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মৃতিচারণ করছিলেন নিজের ক্রিকেটার জীবনের সেরা সময়ের কিছু অনবদ্য ইনিংস নিয়ে। ২০০২ সালে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজের কথা সঙ্গত কারণেই উঠে আসে প্রাক্তন পাক অধিনায়ক তথা বর্তমান নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান ইনজামাম-উল-হকের কথায়।
গদ্দাফি স্টেডিয়ামে ইনজির ৩২৯ রানের অসাধারণ ইনিংসের কথা শুধু পাক সমর্থকরাই নন, বরং ভুলতে পারবেন না ক্রিকেটের প্রকৃতি অনুরাগীরা। লাহোর টেস্টের সুখস্মৃতি অবশ্য সেই সময় মোটেও উপভোগ করতে পারেননি ইনজামাম। কেননা করাচিতে পরের টেস্টের আগে যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড দু'দলেরই, তাতে ক্রিকেট চলে গিয়েছিল পিছনের সারিতে। রীতিমতো আতঙ্ক নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল ক্রিকেটারদের।
ইনজামাম তুলে আনলেন সেই ভয়ানক ঘটনার স্মৃতি। ইনজি জানালেন ২০০২ সালে করাচিতে টিম হোটেলের বাইরে বোমা বিস্ফোরণে কোনও রকমে প্রাণে বেঁচেছিলেন তিনি। পাক কিংবদন্তি আরও জানান, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটারদের ভীত-সন্ত্রস্ত ছবি আজও চোখে ভাসে তাঁর।
ইনজামাম বলেন, 'কোনও ক্রিকেটার আহত হয়নি, তবে অত্যন্ত ভয়ানক দিন ছিল সেটি। যে দিকে বোমা ফেটেছিল, আমার রুম (হোটেলের) ছিল সেদিকেই। ভাগ্য ভালো আমি রুমে ছিলাম না সেই সময়। জানালার কাচের টুকরোগুলো ছিকটে গিয়ে অন্যদিকের দেওয়ালে গেঁথে গিয়েছিল।'
ইনজি আরও বলেন, 'আমরা সবাই মাঠে যাওয়ার তোড়জোড় করছিলাম। বেশিরভাগ খেলোয়াড় ব্রেকফাস্ট করছিল। আমি আওয়াজ শুনে বুঝতে পারিনি ঠিক কী ঘটেছে। সব জানালার কাচ, পর্দা ভেঙে ছড়িয়েছিল চারিদিকে। একজন নিরাপত্তরক্ষীকে জিজ্ঞাসা করতে বলে, এখানে বোমা ফেটেছে।'
পরক্ষণেই ইনজামাম জানান নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটারদের কী অবস্থা হয়েছিল ভয়ে। তাঁর কথায়, 'আমাকে তাড়াতাড়ি বেসমেন্টে যেতে বলা হয়। গিয়ে দেখি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটাররা সুইমিং পুলে রয়েছে এবং প্রত্যেকে কাঁদছিল। ক্রিকেটাররা এমন অভিজ্ঞতার মুখে আগে কখনও পড়েনি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সবাই বাড়ি ফিরে যায়।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।