৪টি ছক্কা ও ২টি চার-সহ এক ওভারে ৩২ রান। মাত্র ১৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি। ওমান ডি-১০ লিগে ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন ওমানের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার যতিন্দর সিং। শেষমেশ ২০ বলে ৬৫ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন তিনি।
ওমান ডি-১০ লিগে খুয়ের ওয়ারিয়র্সের সঙ্গে ম্যাচ ছিল কুরাম থান্ডার্সের। টস জিতে ওয়ারিয়র্স প্রথমে ব্যাট করতে নামে। তারা নির্ধারিত ১০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১০৮ রান তোলে। সিয়ান নাওয়াক ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২০ বলে ৪৮ রান করেন। এছাড়া আমির কালিম ১৬ ও জীশান সিদ্দিকি ১৪ রান করেন। ১৬ রানে ৪ উইকেট নেন শোয়েব খান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে থান্ডার্স ৬.৩ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১০৯ রান তুলে নেয়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আদিত্য গুরুমুখী পরাগের প্রথম ৩টি বলে পরপর ছক্কা মারেন যতিন্দর। চতুর্থ বলে চার মারেন তিনি। পঞ্চম বলে ফের ছক্কা হাঁকান এবং ষষ্ঠ বলে ৪ মেরে ওভার শেষ করেন। সুতরাং, সেই ওভারে মোট ৩২ রান (৬, ৬, ৬, ৪, ৬, ৪) ওঠে।
যতিন্দর অপরাজিত ইনিংসে ২টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন। অপর ওপেনার কাশ্যপকুমার প্রজাপতি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে ৩৮ রান করে আউট হন। থান্ডার্স ২১ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে ম্যাচ জেতে। স্বাভাবিকভাবেই এমন ধংসাত্মক ইনিংসের সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন যতিন্দর।
টি-২০ লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি করেন যতিন্দর। এই ফর্ম্যাটে ১২ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করার যুগ্ম রেকর্ড রয়েছে ক্রিস গেইল, মহম্মদ ওয়াসিম ও মহম্মদ শেহজাদের নামে। টি-১০ লিগে ১৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে রহমানুল্লাহ গুরবাজের।
কে এই যতিন্দর: ওমানের জাতীয় দলের হয়ে ২৯টি ওয়ান ডে ও ৩৯টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন যতিন্দর। ৩৩ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্ম পঞ্জাবের লুধিয়ানায়।