বাংলা নিউজ > ময়দান > বারবার ২৬ বার, যখন-তখন এভারেস্টে চড়ে রেকর্ড গড়লেন পাসাং দাওয়া শেরপা

বারবার ২৬ বার, যখন-তখন এভারেস্টে চড়ে রেকর্ড গড়লেন পাসাং দাওয়া শেরপা

মাউন্ট এভারেস্ট।

তাঁদের দেখানো পথেই পর্বতারোহীরা মাউন্ট এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন। এবার মাউন্ট এভারেস্টে অভিযানে এক পর্বতারোহীকে নিয়ে গিয়ে রেকর্ড গড়লেন পাসাং দাওয়া শেপরা।

বারংবার বাধা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ। মাইলের পর মাইল শুধু বরফ। সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে ২৬ বার পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে উঠলেন নেপালের এক শেরপা পাসাং দাওয়া শেরপা। সরকারিভাবেই আজ এই খবর প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। সবচেয়ে বেশিবার মাউন্ট এভারেস্টে ওঠার পরিসংখ্যানের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাসাং দাওয়া শেরপা।

৪৬ বছর বয়সী এই শেরপা রিতা শেরপার সঙ্গে যুগ্ম ভাবে এই রেকর্ডের অধিকারী হয়েছেন। কামি রিতা শেরপা বর্তমানে ফের মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে গিয়েছেন। এবার ফের যদি তিনি পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করতে পারেন তাহলে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করবেন। একজন সরকারি পর্যটন কর্মকর্তা বিগিয়ান কৈরালা একথা জানিয়েছেন।‌

পাসাং দাওয়া একজন হাঙ্গেরিয়ান অভিযাত্রীর সঙ্গে পৃথিবীর শীর্ষে পৌঁছেছেন। তাঁর নিয়োগকর্তা ইমাজিন নেপাল ট্রেক্স একটি হাইকিং কোম্পানি। তাঁর কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, 'তারা এখন এভারেস্ট থেকে নেমে আসছে এবং ভালো অবস্থায় আছে।' এভারেস্ট অভিযানে একজন শেরপা গুরুত্ব সব সময় অপরিহার্য বলে বিভিন্ন সময় তা মেনে নিয়েছেন সব অভিযাত্রীরাই। শেরপারা নিজেদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে অভিযাত্রীদের সাহায্য করেন। এর আগেও অনেক শেরপা অভিযাত্রীদের সঙ্গে এভারেস্টের চূড়াতে উঠলেও এতবার কামি রিতা ছাড়া আর কোনও শেরপারা এই রেকর্ড নেই। তিনি এইবার উঠতে সক্ষম হলে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙ্গে দেবেন। এর আগেও তিনি তার রেকর্ড ভেঙেছেন।

অন্যদিকে এই বছর পাকিস্তানের এক অভিযাত্রী নানা কিয়ানি প্রথমবার এভারেস্টের চূড়া জয় করেছেন। গ্রীষ্মকালীন মাউন্ট এভারেস্ট অভিযান মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত চলে। এখনও অনেক বিদেশি অভিযাত্রী নিজেদের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন। এখনও সম্পূর্ণভাবে জানা যায়নি কারা কারা এই অভিযানে সফল হয়েছেন। প্রতিটি পর্বতারোহী দলের সঙ্গে একজন করে শেরপা গাইড হিসেবে থাকেন। তাদের মধ্যেই অন্যতম পাসাং দাওয়া শেরপা।

১৯৫৩ সালে স্যার এডমন্ড হিলারি এবং শেরপা তেনজিং নোরগে প্রথমবার এভারেস্ট চূড়া জয় করেন। তারপর থেকেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ওঠার নেশা রয়েছে প্রত্যেক পর্বতারোহী। এখনও পর্যন্ত এই চূড়া জয়ের লক্ষ্যে ৩২০ জন অভিযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বন্ধ করুন