মরশুম শুরুর আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে এটা তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট হতে চলেছে। তবে কোভিডের জেরে কোয়াট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে প্রথম তিন ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি শাহিদ আফ্রিদি। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচই ছিল তাঁর এবারের পিএসএলের প্রথম ম্যাচ। আর সেই ম্যাচেই লজ্জার নজির গড়লেন ‘বুম বুম’।
কলিন মুনরো এবং আজম খান আফ্রিদির বোলিংয়েই ঝড় তুললেন। এক, দুই নয়, আফ্রিদিকে তাঁরা ছয় ছক্কা হাঁকান। ফলস্রুতিতে নিজের নির্ধারিত চার ওভারে ৬৭ রান দিলেন শাহিদ। শেষে অবশ্য তরুণ আজম খানের উইকেট নেন প্রবীণ শাহিদ। ঘটনাক্রমে, পিএসএলের ইতিহাসে আফ্রিদির দেওয়া ৬৭ থেকে বেশি নিজের বোলিংয়ে আজ অব্দি কোনো বোলার রান দেননি। মাঠে ফিরেই তাই লজ্জার রেকর্ডে নাম লেখাতে হল প্রাক্তন পাক তারকাকে।
ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২২৯ রান তোলে ইসলামাবাদ। পল স্টার্লিং ৫৮ (২৮ বলে), অ্যালেক্স হেলস ২২ (আট বলে) রান করে মজবুত ভিত গড়ে দেয় ইসলামাবাদকে। এরপর মুনরো ৭২ রান (৩৯ বলে) ও আজম ৬৫ রান (৩৫ বলে) করেন। বল হাতে মহম্মদ নওয়াজ কোয়েট্টার হয়ে সবচেয়ে সফল। ৩২ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন তিনি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এহসান আলি ৫০ রান (২৭ বলে) করলেও, অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ (১১), বেন ডাকেট (১১), জেমস ভিন্স (০), কোয়াট্টার মহারথীরা, কেউই বড় রান করতে পারেননি।
অষ্টম উইকেটে নওয়াজ (৪৭) ও জেমস ফকনার (৩০) ৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়লেও, ততক্ষণে ম্যাচ কোয়েট্টার নাগালের বাইরে চলে গিয়েছিল। শেষমেশ ১৮৬ রানেই গুটিয়ে যায় সরফরাজের দল। গত ম্যাচে মুলতানের বিরুদ্ধে তাঁর ৯১ রানের ইনিংস কাজে না এলেও, এদিন বল হাতে ২৮ রানের বিনিময়ে চার উইকেট নেন ইসলামাবাদ অধিনায়ক শাদব খান। ৪৩ রানে ম্যাচ জিতে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গেল ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। চারটির মধ্যে তিনটিতে হারলেও চতুর্থ স্থানে রয়েছে কোয়েট্টা। মারকুটে ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ সেরা হন মুনরো।