কী কারণে বচসায় জড়িয়েছিলেন বিরাট ও পন্টিং, রহস্য ফাঁস করলেন অশ্বিন

অবশেষে জানালেন অশ্বিন।

কী কারণে বচসায় জড়িয়েছিলেন বিরাট ও পন্টিং, রহস্য ফাঁস করলেন অশ্বিন (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই)

শুভব্রত মুখার্জি

ক্রিকেট মাঠের সঙ্গে এখন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে স্লেজিং। এই বিষয়ে পথপ্রদর্শক বলা যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলকে। স্টিভ ওয়া থেকে শুরু করে রিকি পন্টিং হোক বা হালফিলের ডেভিড ওয়ার্নার, কেউ কম যান না এই ব্যাপারে। অজিদের স্লেজিংয়ের পালটা দেওয়া ভারত শুরু করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আমল থেকে। বিরাট কোহলির আমলে যা পরিণত হয়েছে আগ্রাসী হাবভাবে। কিন্তু ম্যাচের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে তা মাঝেমধ্যেই সীমা লঙ্ঘন করে বলে কেউ কেউ অভিযোগ তোলেন।

বিরাট কোহলি বরাবরই অত্যন্ত আগ্রাসী খেলোয়াড়। সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক বা আইপিএল - বিপক্ষকে প্রয়োজনে ‘কথা শোনাতে’ ছাড়েন না। কখনও কখনও বচসায় জড়িয়েছেন। এবার কোহলি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দিল্লি দলের কোচ প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে। সম্প্রতি এই ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন জাতীয় দলে বিরাটের সতীর্থ রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচ চলাকালীন এমন ঘটনা ঘটেছিল। দিল্লি ক্যাপিটালসের স্পিনার অশ্বিন জানান, পিঠে ব্যথার কারণে ম্যাচের মাঝপথেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। ফলে ম্যাচ আচমকা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। স্ট্র্যাটেজিক টাইম-আউটের সময় তা নিয়ে ব্যাঙ্গালোর কোচ সাইমন কাটিচ এবং বিরাট কোহলি সরব হন।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেছেন, ‘ওই ম্যাচে দৌড়ানোর সময় পিঠে ব্যথা হচ্ছিল। পরে এমআরআই করতে হয়েছিল। পরীক্ষায় দেখা যায়, পিঠের স্নায়ুতে সমস্যা হয়েছে। ফলে বোলিং করার পর মাঠ ছাড়তে হয়। বিপক্ষ ভেবেছিল, আমি চার ওভার বল করেছি এবং উঠে গিয়েছে। ওঁরা প্রশ্ন করেন,  এটা কীভাবে হতে পারে?’

তারপরই রিকি পন্টিং পালটা উত্তর দেন বলে জানিয়েছেন অশ্বিন। তিনি বলেন, ‘আমরা সকলে জানি রিকি কখনও ঝামেলায় পিছু হটে যান না। যখন আরসিবি প্রশ্ন করে, তখন উনি বলেন, আমরা এরকম নই। ওটা একেবারেই খেলার উত্তেজনার মধ্যে হয়েছে।’