সুযোগ ছিল রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে সব থেকে বেশি রানের দলগত ইনিংস গড়ার। তবে ইডেনে রেকর্ডের খুব কাছে এসেও থেমে যেতে হয় ঝাড়খণ্ডকে। যদিও রঞ্জিতে নিজেদের সর্বোচ্চ দলগত রানের ইনিংস গড়ে ফেলেন সৌরভ তিওয়ারিরা।
নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে রঞ্জির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ইনিংসে ঝাড়খণ্ড অল-আউট হয় ৮৮০ রানে। নিশ্চিত ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন শাহবাজ নদিম। সঙ্গীর অভাবে শতরান করা হল না এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান রাহুল শুক্লার।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে ঝাড়খণ্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৭৬৯ রান তুলেছিল। শাহবাজ নদিম ১২৩ ও রাহুল ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। তৃতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে নদিম টপকে যান ব্যক্তিগত দেড়শো রানের গণ্ডি। রাহুল পূর্ণ করেন হাফ-সেঞ্চুরি। শেষে ২২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩০৪ বলে ১৭৭ রান করে আউট হন নদিম। রাহুল ৭টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ১৪৯ বলে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস। রঞ্জিতে সব থেকে বেশি রানের দলগত ইনিংসের রেকর্ড রয়েছে হায়দরাবাদের নামে। ১৯৯৩-৯৪ মরশুমে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে ৯৪৪ রান সংগ্রহ করেছিল হায়দরাবাদ। এছাড়া ১৯৮৮-৮৯ মরশুমে গোয়ার বিরুদ্ধে তামিলনাড়ু ৬ উইকেটে ৯১২ রান তুলেছিল। ১৯৪৫-৪৬ মরশুমে কর্নাটকের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ তোলে ৮ উইকেটে ৯১২ রান।
ঝাড়খণ্ডের হয়ে প্রথম ইনিংসে কুমার কুশাগ্র ২৬৬, শাহবাজ নদিম ১৭৭, বিরাট সিং ১০৭, রাহুল শুক্লা অপরাজিত ৮৫, কুমার সূরজ ৬৬, অনুকূল রায় ৫৯, উত্কর্ষ সিং ৩৬ ও সৌরভ তিওয়ারি ২৯ রান করেন। নাগাল্যান্ডের হয়ে লেমতার ৪টি ও কেঁসে ৩টি উইকেট নেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।