সেঞ্চুরি করেও আক্ষেপ মিটছে না অনুষ্টুপ মজুমদারের। বরং এমন ব্যাটিং সহায়ক পিচ ও পরিস্থিতিতে তাঁর মতো দলের সিনিয়র ক্রিকেটারের আরও বেশি রান করা উচিত ছিল বলে মনে করছেন তিনি।
ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে ১৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯৪ বলে ১১৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে আউট হন অনুষ্টুপ। বাংলা দ্বিতীয় দিনের শেষে ইতিমধ্যেই তাদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ৫৭৭ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তুলেছে।
টপ অর্ডারের সব ব্যাটসম্যানরাই সেঞ্চুরি না-হয় হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন। মনোজ তিওয়ারি ও শাহবাজ আহমেদ অপরাজিত রয়েছেন দ্বিতীয় দিনের শেষ। সুতরাং বাংলা তড়িঘড়ি ব্যাট ছাড়তে না চাইলে আরও কিছু রান যোগ হবে তাদের খাতায়। এমন স্বস্তিজনক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও আক্ষেপের সুর শোনা গেল অনুষ্টুপের গলায়।
আরও পড়ুন:- Ranji Trophy: ঋদ্ধি পরবর্তী যুগের ডাকাবুকো উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান পেয়ে গেল বাংলা
দ্বিতীয় দিনের শেষে অনুষ্টুপ বলেন, ‘বাংলার হয়ে রান করতে পারলে সবসময় ভালো লাগে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি হতাশ নিজের ইনিংসকে আরও বড় রূপ দিতে না পারায়। পিচ ভালো ছিল। ওদের বোলারদের আমরা ঠিকঠাক পড়তে পারছিলাম। আরও বেশি রান করা উচিত ছিল। যদিও (আউট হওয়ার) বলটা সত্যিই ভালো ছিল।’
অনুষ্টুপ আরও বলেন, ‘আমাদের পারফর্ম্যান্সের সব থেকে ইতিবাচক দিক হল, কেউই নিজের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেনি। আমাদের ব্যাটাররা আত্মবিশ্বাসী ছিল এবং আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি।’
নিজেরা যথেচ্ছ রান তুললেও অনুষ্টুপ মনে করছেন যে, পিচে পেসারদের জন্য সাহায্য রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘পিচ পেসারদের সাহায্য করবে। যদি বল হাতে আমরা নিজেদের যথাযথ মেলে ধরি, তবে ম্যাচে ছড়ি ঘোরাতে পারব।’
নিজে শতরান করলেও অনুষ্টুপের মুখে প্রশংসা শোনা গেল দলের বাকি ব্যাটসম্যানদেরও। তিনি বলেন, ‘সুদীপ আসাধারণ ব্যাট করেছে। ও যখন রান পাচ্ছিল না, আমরা ওকে সমর্থন করেছিলাম। এই ম্যাচে ও নিজের প্রতিভার প্রতি যথাযথ সুবিচার করেছে। অভিষেক পোড়েল প্রথম ম্যাচ থেকেই নিজের ছাপ রাখছে। এই ম্যাচেও সেটা বজায় রাখে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।