ব্যাটিং পিচে দাদাগিরি। বল ঘুরতেই জারিজুরি শেষ বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ব্যাগভর্তি রান সংগ্রহ করার লোভ সামলাতে পারেনি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। পরিকল্পনাহীন দীর্ঘ ব্যাটিংয়ে ম্যাচ ড্র করেই সন্তুষ্ট ছিলেন মোমিনূল হকরা। তবে দ্বিতীয় টেস্টে পাল্লেকেলের বাইশগজে বল টার্ন নিতেই অনামি দুই তরুণের হাতে যারপরনাই লাঞ্ছিত হতে হয় বাংলাদেশকে।
ম্যাচ বাঁচানোর জন্য চোয়ালচাপা লাড়াইয়ের বদলে অসহায় আত্মসমর্পণের ছবিই দেখা যায় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ক্যান্ডির দ্বিতীয় টেস্টে বিধ্বস্ত হওয়ায় ২ ম্যাচের সিরিজও ০-১ ব্যবধানে হারতে হয় মোমিনুলদের।
শ্রীলঙ্কার ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানের জবাবে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ২৫১ রানে। ২৪২ রানে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা ফলো-অনের লজ্জা থেকে মুক্তি দেয় বাংলাদেশকে। বদলে নিজেরাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে।
দ্বিতীয় দফায় ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৪ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় শ্রীলঙ্কা। করুণারত্নে ৬৬ ও ডি'সিলভা ৪১ রান করেন। তাইজুল ইসলাম ৭২ রানে ৫ উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন মেহেদি হাসান।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৪৩৭ রানের। চতুর্থ দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৭ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসেন মোমিনুলরা। শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ২৬০ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট।
পঞ্চম দিনের লাঞ্চের আগেই বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ২২৭ রানে। সুতরাং ৫০ রান যোগ করে বাংলাদেশের শেষ ৫ জন ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন। মুশফিকুর ৪০ ও মেহেদি হাসান ৩৯ রান করেন।
অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া ২২ বছরের বাঁ-হাতি স্পিনার প্রবীণ জয়াবিক্রমে দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন ৫ উইকেট। কেরিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা ২৫ বছর বয়সী অফ-স্পিনার রমেশ মেন্ডিস প্রথম ইনিংসে ২টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টি উইকেট নেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১টি উইকেট নেওয়া জয়াবিক্রমে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।