World Championships-এর ফাইনালে আরও বড় ইতিহাস গড়ার লক্ষ্য শ্রীকান্তের

শ্রীকান্ত এবং লক্ষ্য সেন সেমিফাইনালে পৌঁছেই প্রকাশ পাড়ুকোন এবং সাই প্রণীতের রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন। তবে শেষ চারের লড়াইয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে শ্রীকান্তের কাছে ১-২ হেরে বসে থাকল লক্ষ্য। আর ফাইনালে উঠে ইতিহাস লিখলেন শ্রীকান্ত। এ বার তিনি ফাইনাল জিতে আরও বড় ইতিহাস রচনা করতে চান।

লক্ষ্য সেন এবং কিদম্বি শ্রীকান্ত।

১৯৮৩ সালে প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন প্রকাশ পাড়ুকোন। এর ৩৬ বছর পর ২০১৯ সালে ফের কোনও ভারতীয় হিসেবে বিশ্ব মিট থেকে সাই প্রণীত ব্রোঞ্জ উপহার দিয়েছিলেন দেশকে। কিন্তু অতীতের যাবতীয় সাফল্য ছাপিয়ে গেলেন কিদম্বি শ্রীকান্ত। লক্ষ্য সেনকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে এ বার ইতিহাস গড়ে ফেললেন কিদম্বি শ্রীকান্ত। এর আগে আর কোনও ভারতীয় শাটলার ফাইনালে পৌঁছতে পারেননি। সেখানে প্রথম ভারতীয় শাটলার হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলেন শ্রীকান্ত। ফাইনালে সিঙ্গাপুরের লো কিন ইউকে হারিয়ে আরও বড় ইতিহাস লিখতে চলেছেন 

আগেই শ্রীকান্ত এবং লক্ষ্য সেন সেমিফাইনালে পৌঁছেই প্রকাশ পাড়ুকোন এবং সাই প্রণীতের রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন। তবে শেষ চারের লড়াইয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে শ্রীকান্তের কাছে ১-২ হেরে বসে থাকলেন তিনি। আর ফাইনালে উঠে ইতিহাস লিখলেন শ্রীকান্ত। আসলে সেমিফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করে জয় ছিনিয়ে নিলেন ২৮ বছরের শ্রীকান্ত। ভালো খেলেও তাই কিছুটা পিছিয়ে পড়লেন ২০ বছরের লক্ষ্য।

প্রথম গেমে একটা সময়ে শ্রীকান্ত ৬-৪ পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়ার পর লক্ষ্য ৬-৬ করেন। তারপর ৮-৮ হয়। এর পর লক্ষ্য এগিয়ে যান ১৩-১০ পয়েন্টে। সেখান থেকে ১৬-১৬ করেন শ্রীকান্ত। কিন্তু খুব মাথা ঠান্ডা রেখে ২১-১৭-তে প্রথম গেম জিতে নেন লক্ষ্য।

দ্বিতীয় গেমে আবার মাঝখান থেকে ম্যাচে ফেরেন শ্রীকান্ত। প্রথম গেম জেতার আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে লক্ষ্য প্রথমে ৫-৩, তারপর ৮-৪-এ এগিয়ে যান। এরপর দু’টি পয়েন্ট জিতে ব্যবধান কমিয়ে ৬-৮ করেন শ্রীকান্ত। আসলে শ্রীকান্তের অভিজ্ঞতার কাছেই কিছুটা পিছিয়ে পড়েন লক্ষ্য। শ্রীকান্ত ব্যবধান বাড়িয়ে ১৬-১২ পয়েন্টে লিড নেন। লক্ষ্য পরপর দু’টি পয়েন্ট জিতে ব্যবধান কমিয়ে ১৪-১৬ করেন। কিন্তু পরপর পাঁচ পয়েন্ট জেতেন শ্রীকান্ত। ২১-১৪ দ্বিতীয় গেম জিতে নেন তিনি।

তৃতীয় গেমে লক্ষ্যের আত্মবিশ্বাসে কিছুটা হলেও চিড় ধরে। যে কারণে শুরুতেই ২-৪-এ পিছিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু এর পরেই ঘুরে দাঁড়ান লশ্র্য। একটা সময়ে ১১-৮-এ লিড নেন তিনি। কিন্তু শ্রীকান্তের অভিজ্ঞতাই ফের পিছনে ফেলে দেয় লক্ষ্যকে। যার ফল ২১-১৭-তে তৃতীয় গেম জিতে ফাইনালে পৌঁছে যান শ্রীকান্ত। লক্ষ্য সেন ম্যাচটি হেরে গেলেও, তাঁর লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলেই। এখন দেখার শ্রীকান্ত ফাইনালে জিতে মধুরেণ সমাপয়েৎ করতে পারেন কিনা!