রঞ্জিতে অভিষেকে দ্বিশতরান, মুম্বইয়ের সুভেদ লিখে ফেললেন ইতিহাস, ছুঁলেন গুরুর নজির

তিনি এখন সামগ্রিক ভাবে ১২তম ভারতীয় ক্রিকেটার এবং এই মরশুমে তৃতীয় ক্রিকেটার, যিনি একক ইনিংসে অভিষেকেই দ্বিশতরান করেছেন। আর দ্বিতীয় মুম্বই ব্যাটার হিসেবে অভিষেকেই ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেললেন তিনি।

সুভেদ পার্কার করে ফেললেন দ্বিশতরান।

মঙ্গলবার সুভেদ পার্কার রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেললেন। দ্বিতীয় মুম্বই ব্যাটার হিসেবে অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেললেন তিনি। কাকতালীয় হলেও মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জিতে অভিষেকেই প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন দলের প্রধান কোচ অমল মুজুমদার।

তাদের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে উত্তরাখণ্ডের স্বপ্নিল সিং-এর বলে লং-অফে ট্যাপ করে ৩৭৫ বলে দ্বিশতরানে পৌঁছান সুভেদ। তাঁর এই দ্বিশতরানের ইনিংসে রয়েছে ১৭টি চার এবং ৩টি ছক্কা।

তিনি এখন সামগ্রিক ভাবে ১২তম ভারতীয় ক্রিকেটার এবং এই মরশুমে তৃতীয় ক্রিকেটার, যিনি একক ইনিংসে অভিষেকেই দ্বিশতরান করেছেন।

সোমবার প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর সুভেদ পার্কার বলেছিলেন, ‘দলের জন্য অবদান রাখাটা দারুণ অনুভূতি। অভিষেকেই নকআউট পর্বের ম্যাচ খেলছি, তাই এটি আমার কাছে বিশেষ। সেঞ্চরি এটিকে আরও বিশেষ করে দিয়েছে।’

সোমবার তো তাও সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। আর মঙ্গলবার তো দ্বিশতরান করে ফেললেন। স্বাভাবিক ভাবেই অভিষেক ম্যাচে তিনি ইতিহাস লিখে, সেটা আরও বিশেষ করে ফেললেন।

বোরিভালির স্বামী বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে কোচ দীনেশ লাডের অধীনে তাঁর ক্রিকেট জীবন শুরু হয়। রোহিত শর্মার আঁতুরঘরেই আসলে আত্মপ্রকাশ সুভেদের। তিনি বয়স-ভিত্তিক স্তরে ধারাবাহিক স্কোরার হয়েছেন।

২০১৯-২০ সালে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯-এর হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। এবং গত মাসে মুম্বইয়ের সিকে নাইডু ট্রফি জয়ে দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করেছিলেন। রঞ্জিতেও সুভেদ পার্কার আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। আর সেটাই প্রকাশ পেল ২২ গজে।

সোমবার সফররাজ খান ১৫৩ করে আউট হয়েছিলেন। মঙ্গলবার দ্বিশতরান করে ফেলেছেন সুভেদ। মুম্বইও পার করে ফেলেছেন ছ'শোর গণ্ডি। এত বড় রানের সামনে দাঁড়িয়ে কিন্তু পাহাড় প্রমাণ চাপে উত্তরাখণ্ড।