ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ২টি সিরিজের ৫টি টেস্টের মধ্যে অন্তত ৪টিতে জিতলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল পাকিস্তানের। তবে নিজেদের ডেরায় ২টি টেস্ট সিরিজকে যথাযথ কাজে লাগাতে ব্যর্থ বাবর আজমরা। ইংল্যান্ডের কাছে টানা তিনটি টেস্ট হারার পরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র করে পাকিস্তান। স্বাভাবিকভাবেই তাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার আশা এবারের মতো শেষ হয়ে যায়।
আপাতত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে রয়েছে চারটি দল। অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে যাওয়া কার্যত নিশ্চিত দেখাচ্ছে। তাদের হাতে রয়েছে ৫টি (দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১টি এবং ভারতের বিরুদ্ধে ৪টি) টেস্ট। কোনও একটি টেস্ট ড্র করলেই অজিরা সরকারিভাবে ফাইনালের টিকিট হাতে পেয়ে যাবে। জিতলে তো কোনও কথাই নেই।
এমনটা নয় যে, শেষ পাঁচটি ম্যাচ হারলে ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে না অস্ট্রেলিয়ার। বরং তার পরেও খেতাবি লড়াইয়ে জায়গা করে নেওয়ার দৌড়ে টিকে থাকবে তারা। তবে কোনও একটি ম্যাচ না হারলেই বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে অস্ট্রেলিয়া।
ভারতের হাতে রয়েছে (অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে) চারটি টেস্ট। দক্ষিণ আফ্রিকা যদি সিরিজের শেষ ম্যাচে অজিদের কাছে হেরে বসে, তবে ভারত চার টেস্টের শেষ সিরিজ যে কোনও ব্যবধানে জিতলেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে পারে।
দক্ষি আফ্রিকাকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে তাদের শেষ ৩টি ম্যাচ (অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১টি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২টি) জিততেই হবে। তার পরেও ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে প্রোটিয়াদের। শ্রীলঙ্কাকেও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ২টি ম্য়াচ জিততেই হবে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আপডেটেড পয়েন্ট টেবল:-
১) অস্ট্রেলিয়া: ম্যাচ-১৪, জয়-১০, হার-১, ড্র-৩, পয়েন্ট-১৩২, পয়েন্টের শতকরা হার- ৭৮.৫৭।
২) ভারত: ম্যাচ-১৪, জয়-৮, হার-৪, ড্র-২, পয়েন্ট-৯৯, পয়েন্টের শতকরা হার- ৫৮.৯৩।
৩) শ্রীলঙ্কা: ম্যাচ-১০, জয়-৫, হার-৪, ড্র-১, পয়েন্ট-৬৪, পয়েন্টের শতকরা হার- ৫৩.৩৩।
৪) দক্ষিণ আফ্রিকা: ম্যাচ-১২, জয়-৬, হার-৬, ড্র-০, পয়েন্ট-৭২, পয়েন্টের শতকরা হার- ৫০.০০।
৫) ইংল্যান্ড: ম্যাচ-২২, জয়-১০, হার-৮, ড্র-৪, পয়েন্ট-১২৪, পয়েন্টের শতকরা হার- ৪৬.৯৭।
৬) ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ম্যাচ-১১, জয়-৪, হার-৫, ড্র-২, পয়েন্ট-৫৪, পয়েন্টের শতকরা হার- ৪০.৯১।
৭) পাকিস্তান: ম্যাচ-১৩, জয়-৪, হার-৬, ড্র-৩, পয়েন্ট-৬০, পয়েন্টের শতকরা হার- ৩৮.৪৬।
৮) নিউজিল্যান্ড: ম্যাচ-১০, জয়-২, হার-৬, ড্র-২, পয়েন্ট-৩২, পয়েন্টের শতকরা হার- ২৬.৬৭।
৯) বাংলাদেশ: ম্যাচ-১২, জয়-১, হার-১০, ড্র-১, পয়েন্ট-১৬, পয়েন্টের শতকরা হার- ১১.১১।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।