আর্থিক প্রতারণায় ডামি আঙুল বা রবারের আঙুল ব্যবহার বাড়ছে। অজান্তেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জানানো হয়েছে যে আধার-সক্ষম পেমেন্ট সিস্টেম (AePS) ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে প্রতারকরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কথায়, বায়োমেট্রিক্স ক্লোনিংও চলছে। আধার-সক্ষম পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে রবার আঙুল ব্যবহার করে টাকা তোলার প্রতারণা রুখতে, তাঁরা আধার এবং NPCI (ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া) সিস্টেমে বিভিন্ন পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন। যাতে আগামী সপ্তাহগুলিতে কিছুটা হলেও প্রতারণা কমানো যায়।
- এছাড়াও কমিটি ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রককে (MeitY) বিশেষভাবে জিজ্ঞাসা করেছিল যে AePS-এর অপব্যবহার হওয়ার সময় আধার ডেটা লিঙ্ক করা হয়েছিল কিনা এবং AePS-এর অপব্যবহারে আধার ডেটা ফাঁস রোধ করার জন্য ঠিক কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল?
যদিও কোনও ডেটা ফাঁসের বিষয়টি অস্বীকার করে মন্ত্রক জানিয়েছে যে UIDAI (ভারতের স্বতন্ত্র সনাক্তকরণ কর্তৃপক্ষ)-এর রিপোর্ট সূত্রের খবর, সেন্ট্রাল আইডেন্টিটিস ডেটা রিপোজিটরি (CIDR) থেকে আধার কার্ডধারীদের বায়োমেট্রিক এবং ডেমোগ্রাফিক তথ্যের ডেটাবেস বাইরে আসেনি। এছাড়াও ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল যে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পূর্ববর্তী বারো মাসে যে অ্যাকাউন্টগুলিতে কোনও লেনদেন হয়নি, সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI), ২৬ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখের একটি সার্কুলারে।
কমিটি ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি ভারতীয়দের আধার ডেটা ফাঁস হওয়ার রিপোর্ট নিয়ে MeitY কে প্রশ্ন করেছিল। তারই উত্তরে MeitY জানিয়েছে যে ওই ডেটাগুলি UIDAI ডাটাবেসের অংশই নয়। কারণ ফাঁস হওয়া ডেটা UIDAI ডাটাবেসে পাওয়া যায়নি। যেহেতু ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) ডেটাবেস থেকে এই ডেটা ফাঁস হওয়ার তথ্য সামনে এসেছে, তাই MeitY পাল্টা বলেছে যে, UIDAI আইসিএমআর-এর কাছে কোনো ব্যক্তিগত আধার ডেটা উপলব্ধ করেনি বা ICMR-এর কাছে থাকা কোনও আধার ডেটা প্রমাণীকরণও করেনি। তাই ডেটাবেস থেকে কোনও তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
- AEPS কীভাবে কাজ করে?
AEPS অর্থাৎ আধার-সক্ষম পেমেন্ট সিস্টেম হল এমনই একটি অর্থপ্রদান পরিষেবা, যা একজন গ্রাহককে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করার জন্য সাহায্য করে। AEPS-এর অধীনে উপলব্ধ কিছু ব্যাঙ্কিং পরিষেবাগুলি হল –
১) নগদ টাকা তোলা
২) নগদ টাকা জমা করা
৩) ব্যালেন্স অনুসন্ধান
৪) আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মিনি স্টেটমেন্ট বের করা
৫) আধার থেকে আধার ফান্ড ট্রান্সফার ব্যবহার করে অর্থপ্রদান৷