শুধুমাত্র পাঁচবার ওড়ার কথা ছিল তার। কিন্তু তার দ্বিগুণেরও বেশি উড়ানে সফল মঙ্গল গ্রহে নাসার হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি। এখনও পর্যন্ত ১২ টি ফ্লাইট সম্পন্ন করেছে কপ্টারটি। এখানেই শেষ নয়। আরও উড়ানের জন্যও প্রস্তুত যানটি।
ক্ষুদ্র কপ্টারটি রোভার পার্সেভিয়ারেন্সের সর্বক্ষণের ভ্রমণ সঙ্গী হয়ে উঠেছে। দুটি যানেরই লক্ষ্য স্থির। মঙ্গল গ্রহে প্রাচীন জীবনের নিদর্শন খোঁজা।
'সবকিছুই খুব ভালভাবে কাজ করছে,' জানালেন ইনজেনুইটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের প্রধান জশ রাভিচ। 'আমাদের যা প্রত্যাশা ছিল, তার থেকেও সবকিছু ভালভাবে চলছে,' বলেন তিনি।
পাঁচ বছর আগে ইনজন্যুটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং দলে যোগ দিয়েছিলেন জশ রাভিচ। মঙ্গলের আকাশে কপ্টার ওড়ানোর মতো অসাধ্য কাজ কী সম্ভব? সেই সময় নিজেকেই এই প্রশ্ন করেছিলেন বলে জানান তিনি।
তাঁর সন্দেহের কারণও ছিল। মঙ্গলের বায়ুর ঘনত্ব পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মাত্র এক শতাংশ। মঙ্গল গ্রহে হেলিকপ্টার ওড়ানো কতটা কঠিন তার ব্যাখ্যা করলেন তিনি। জশ বলেন, 'মঙ্গলে কপ্টার ওড়ানো পৃথিবীতে ২০ মাইল (৩০ কিলোমিটার) উচ্চতায় পাতলা বাতাসে কপ্টার ওড়ানোর মতো।'
চলতি বছর নাসার রোভার পারসিভেরান্স-এর সঙ্গে ফেব্রুয়ারি মাসে মঙ্গলে পৌঁছায় হেলিকপ্টারটি। প্রায় ৬ মাস যাত্রার পর নির্বিঘ্নে মঙ্গলের মাটি ছোঁয় পার্সিভিয়ারেন্স ও ইনজেনুইটি। এপ্রিল মাসের শুরুতে পার্সিভিয়ারেন্স-এর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেরিয়ে আসে হেলিকপ্টারটি। ১৯ এপ্রিল প্রথমবার মঙ্গলের আকাশে সফল উড়ান সম্পন্ন করে ইনজেনুইটি।