মাত্র দু'বছর অপেক্ষা করে যান। বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম পেট্রল গাড়ির সমান হয়ে যাবে। এমনটাই আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গডকড়ি।
'আগামী দুই বছরের মধ্যে, বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম এমন স্তরে নেমে আসবে যে, সেগুলি তাদের পেট্রল ভেরিয়েন্টের সমান হবে। ইতিমধ্যেই ইভিতে GST মাত্র ৫% করা হয়েছে। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিরও দাম কমছে,' বলেন তিনি। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, সরকার ইতিমধ্যে একটি নীতি তৈরি করেছে। আগামিদিনে পেট্রল পাম্পে ইভি চার্জিং স্টেশন স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে। দুই বছরের মধ্যে ভারত জুড়ে অনেক বেশি চার্জিং পয়েন্ট থাকবে বলে জানান গডকড়ি। দিনকয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, ভারতে কার্বন নিঃসরণ কমানো হবে। পরিবেশ দূষণ কমানো হবে।
রবিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে ডেনমার্কের সাসটেনেবিলিটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে যোগ দেন তিনি। ওয়েবিনারের বিষয় ছিল 'কয়লা ব্যবহার বন্ধ এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনে রূপান্তর।'
কিন্তু দেশের মানুষ আদৌ ইলেকট্রিক গাড়ি কিনবে? 'দেশের বাজারে এখনই বৈদ্যুতিক গাড়ি ভালই সাড়া পাচ্ছে। পেট্রল গাড়িতে প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা খরচ। ডিজেলে খরচ ৭ টাকা/কিমি। সেখানে ইভিতে কিলোমিটার প্রতি মাত্র ১ টাকা করে খরচ পড়ে। তাই আলাদা করে সবাইকে ইভি কিনতে চাপ দেওয়ারও প্রয়োজন হবে না,' বলেন নীতিন গডকড়ি।
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে, ভারত ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে ৩০% ইভি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বাণিজ্যিক যানবাহনের জন্য এটি ৭০%। বাসের জন্য ৪০% এবং টু ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৮০%। বর্তমানে, দেশের বাজারে ১৫ লক্ষ টাকা দামের মধ্যে মাত্র ২-৩টি ই-কার রয়েছে। তবে সেই একই গাড়ির পেট্রল ভেরিয়েন্টের দাম ইভি-র প্রায় অর্ধেক।
তবে টু-হুইলারের ক্ষেত্রে ছবিটা আলাদা। কেন্দ্রের FAME II ভর্তুকি নীতিতে মিলেছে সুফল। এখন ইলেকট্রিক স্কুটারের দাম তার পেট্রল বিকল্পের প্রায় সমান। ফলে বাজারে একের পর এক ইলেকট্রিক স্কুটার আসছে। রাস্তাঘাটে দেখাও যাচ্ছে। চার চাকার ক্ষেত্রেও এই একইরকম পরিস্থিতি আনতে চাইছে কেন্দ্র সরকার।
।