৭.২ কিলোওয়াট এসি ফাস্ট চার্জার বাড়িতেও ইনস্টল করা যেতে পারে। তাই দিয়ে বাড়িতে মাত্র ৬.৫ ঘণ্টাতেই গাড়ি ফুল চার্জ দিয়ে নেওয়া যাবে। Nexon EV MAX কোনও ৫০ kW DC ফাস্ট চার্জার দিয়ে মাত্র ৫৬ মিনিটে ০-৮০% চার্জ হয়ে যাবে।
লঞ্চ হল Tata Motors Nexon EV-র লং-রেঞ্জ ভার্সান। নাম Tata Nexon EV Max । যে কোনও ব্যাটারিচালিত যানবাহনের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন একটাই - রেঞ্জ। আর সেই রেঞ্জেই জোর দিল টাটা।
নতুন ভ্যারিয়েন্টের দাম ১৭.৭৪ লক্ষ টাকা থেকে ১৯.২৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত (এক্স-শোরুম, দিল্লি)। সংস্থার দাবি, নয়া মডেলটি এক চার্জেই ৪৩৭ কিলোমিটারের বেশি রেঞ্জ দেবে। অর্থাত্ ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়েও এবার মোটামুটি ট্যুরিং করা যাবে।
থাকছে ৪০.৫ kWh ব্যাটারি প্যাক। তবে ব্যাটারি ছাড়াও এই মডেলে কেবিন, সেন্টার কনসোলে পরিবর্তন করা হয়েছে। তার পাশাপাশি আরও বেশি নিরাপদ করা হয়েছে। প্রযুক্তিগত বেশ কয়েকটি আপগ্রেডও হয়েছে।
Tata Nexon EV Max ৩৩% বেশি ব্যাটারি ক্ষমতা দেবে। ৪৩৭ কিলোমিটারের রেঞ্জটি ARAI সার্টিফায়েড। তুলনামূলকভাবে, স্ট্যান্ডার্ড নেক্সন ইভি এক চার্জে ৩১২ কিলোমিটার রেঞ্জ অফার করে। Nexon EV Max ১৪১ bhp এবং ২৫০ Nm পিক টর্ক ডেলিভার করে। সংস্থার দাবি মাত্র ৯ সেকেন্ডের মধ্যে এটি ০-১০০ kmph স্পিড তুলতে সক্ষম।
নতুন এই মডেলে গাড়িটির প্রায় ১০০ কেজি ওজন বেড়েছে। এর প্রায় ৭০ কেজি ওজন খালি বড় ব্যাটারিটি থেকেই আসে।
নতুন Nexon EV MAX দুটি ট্রিমে পাওয়া যাবে - XZ+ এবং XZ+ Lux। এটি ৩টি রঙে উপলব্ধ - ইনটেনসি-টিল (নেক্সন ইভি ম্যাক্সের ক্ষেত্রে এটাই মেলে), ডেটোনা গ্রে এবং প্রিস্টিন হোয়াইট। ডুয়াল-টোন কালারই স্ট্যান্ডার্ড।
নেক্সন ইভি ম্যাক্স তিনটি ড্রাইভিং মোড থাকছে - ইকো, সিটি এবং স্পোর্ট।
Tata Nexon EV Max-এ ৩.৩ kW চার্জার বা একটি ৭.২ kW AC ফাস্ট চার্জিংয়ের অপশন রয়েছে। ৭.২ কিলোওয়াট এসি ফাস্ট চার্জার বাড়িতেও ইনস্টল করা যেতে পারে। তাই দিয়ে বাড়িতে মাত্র ৬.৫ ঘণ্টাতেই গাড়ি ফুল চার্জ দিয়ে নেওয়া যাবে। Nexon EV MAX কোনও ৫০ kW DC ফাস্ট চার্জার দিয়ে মাত্র ৫৬ মিনিটে ০-৮০% চার্জ হয়ে যাবে।