বাংলা নিউজ >
টেকটক > আত্মহত্যায় প্ররোচনামূলক কনটেন্ট না সরালে জরিমানা হবে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার
আত্মহত্যায় প্ররোচনামূলক কনটেন্ট না সরালে জরিমানা হবে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার Updated: 29 Nov 2022, 01:32 PM IST Soumick Majumdar মলি রাসেলের মৃত্যুর তদন্তকারীরা জানায়, সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই সে এমন কিছু কনটেন্ট পেয়েছিল, যেগুলি অল্পবয়সীদের মধ্যে আত্ম-ক্ষতিকে রোমান্টিসাইজ করে। এর প্রেক্ষিতেই কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ট্রিগার সতর্কতা: এই প্রতিবেদনে সেলফ হার্ম, আত্মহত্যার মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 1/8 অনলাইনে 'সেলফ হার্মে' প্ররোচনা দিলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়ে অনলাইন আচরণবিধির নীতিমালাতেও পরিবর্তন আনছে ব্রিটেন। আর এর অংশ হিসাবে সতর্ক হতে বলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাদের। ফাইল ছবি: পিক্সাবে 2/8 নয়া নির্দেশিকায় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে, 'আত্মহত্যা, সেলফ হার্মের মতো বিষয়ে উত্সাহ প্রদান করে, এমন যে কোনও কনটেন্ট দ্রুত ডিলিট করতে হবে। সেটি করতে ব্যর্থ হলে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাকে জরিমানা করা হবে।' ফাইল ছবি: এপি 3/8 সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট দেখে আত্মহত্যার প্ররোচনা পাওয়া নতুন নয়। বিভিন্ন লেখা, ছবি, 'ড্যাঙ্ক মিম', ভিডিয়োতে এ হেন বিষয়ে রীতিমতো প্ররোচনা দেওয়া হয়। কোনও ক্ষেত্রে অল্পবয়সীদের মধ্যে নিজের ক্ষতি করা, মৃত্যুকে 'রোমান্টিক' ভঙ্গিতে প্রদর্শন করা হয়। এর ফলে প্ররোচিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। ফাইল ছবি : রয়টার্স 4/8 ২০১৭ সাল। মলি রাসেল নামের ব্রিটেনের এক কিশোরীর আত্মহননেও ইন্ধন জুগিয়েছিল এহেন পোস্ট। ফাইল ছবি: ইনস্টাগ্রাম 5/8 গত সেপ্টেম্বরে, মলি রাসেলের মৃত্যুর তদন্তকারীরা জানায়, সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই সে এমন কিছু কনটেন্ট পেয়েছিল, যেগুলি অল্পবয়সীদের মধ্যে আত্ম-ক্ষতিকে রোমান্টিসাইজ করে। এর প্রেক্ষিতেই কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কনজারভেটিভ সরকার জানিয়েছে, এই ধরনের সমস্ত ছবি, ভিডিয়ো দ্রুত ব্লক করার ক্ষেত্রে জোর দিতেই এই সিদ্ধান্ত। ফাইল ছবি: পিক্সাবে 6/8 গত সপ্তাহে ব্রিটেন সরকার আরও জানায় যে, নয়া আইনে অযাচিত, অনুমোদনহীন যৌনতার ছবি শেয়ার করাকেও সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হবে। 'অনলাইন সেফটি বিল' নামে এই নীতিমালার খসড়া ২০২১ সালের মে মাসে প্রথমবার সংসদে প্রকাশিত হয়। সময়ের সঙ্গে এই বিলে উপযুক্ত নানা ধারা যোগ করা হয়েছে। ফাইল ছবি : রয়টার্স 7/8 এই বিলের আগের সংস্করণে 'বেআইনি নয় কিন্তু ক্ষতিকারক' এমন উপাদান নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে প্রতিবাদ করে প্রযুক্তি সংস্থাগুলি। বিরোধিতা করে বাক-স্বাধীনতা সংগঠনগুলিও। তাদের মতে এই সংজ্ঞা একেবারেই নির্দিষ্ট নয়। এটি বিভিন্নভাবে ব্যাখা করা যেতে পারে। ফলে ক্ষতিকারক ঠিক কী, কোন ক্ষেত্রে পদক্ষেপ প্রয়োজন, তা নির্ধারণের প্রক্রিয়া জটিল হয়ে যাবে। (ছবি সৌজন্যে রয়টার্স) 8/8 তবে, শিশু সুরক্ষা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা সংস্থাগুলি এই বিলের সমর্থন করেছে। অনলাইনে বর্ণদ্বেষী এবং যৌন নির্যাতনকে সীমিত করার পক্ষে সওয়াল করেছেন এই গোষ্ঠীর সদস্যরা। ফাইল ছবি: পিক্সাবে