এসএসসি নিয়োগ মামলায় বাগ রিপোর্ট পেশ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তাতে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। যদিও এই নিয়ে এখনও কোনও রায় দেননি বিচারপতি। তবে বিষয়টি নিয়ে এবার তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ, শনিবার সকালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে বাক্যবাণ ছুঁড়েছেন।
ঠিক কী বলেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ? আজ, শনিবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘যখনই সিবিআই ডাকে, ইডি ডাকে তখন কোর্টে চলে যান। না হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান। কেন যান সেটা এখন বোঝা যাচ্ছে। তদন্তগুলি নিয়ে যতগুলি কমিটি তৈরি হয়েছে সেই সমস্ত কমিটির রিপোর্ট আসলে এই ধরনের অনেক রাঘব–বোয়াল ধরা পড়বে। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। মানুষকে লুট করা হয়েছে। ৬০০ জনের চাকরি হয়েছে অনেকেই পরীক্ষায় বসেননি, ফেল করেছে। ১০ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। কয়েকশো কোটি টাকা এদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এত বড় দুর্নীতি। প্রত্যেকটি পরীক্ষাতে দুর্নীতি হয়েছে এই সরকার আসার পরে। এমন ঘটনা আরও প্রকাশ্যে আসবে।’
নাম না করে দিলীপ ঘোষকে সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, ওনাদের রাজনীতির মূলধন সাম্প্রদায়িকতা। আজ এই নিয়ে ফুঁসে উঠলেন বিজেপি সাংসদ। ঠিক কী বললেন তিনি? এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা তো সাম্প্রদায়িক। এই সাম্প্রদায়িকতা সারা দেশ গঠন করেছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত। ওনাদের কেন গ্রহণ করছে না? সবাই জানে আমরা সাম্প্রদায়িক। ওনারা আমাদেরকে তকমা দিয়েছেন। এই তকমা সত্ত্বেও আমাদের স্বীকার করে নিয়েছেন। আমরা ক্ষমতায় আছি, আমাদের দু’হাজার এমএলএ আছে। ত্রিপুরা, গোয়া, উত্তরপ্রদেশ, অসম সব জায়গায় কোটি কোটি টাকা খরচ করেও একটা পঞ্চায়েতও জিততে পারলেন না। তাই ওদের সার্টিফিকেট দেওয়ার দরকার নেই। গায়ের জোরে লোক দিয়ে গুন্ডা দিয়ে পুলিশ দিয়ে বাংলায় রাজনীতি করেছেন। চারিদিকে হাহাকার চলছে সেই দিকে খেয়াল করুন। দিলীপ ঘোষকে নিয়ে ভাবতে হবে না। দিলীপ ঘোষ মানুষের সঙ্গে আছে।’
অনীক দত্তের অপরাজিত ছবির স্ক্রিনিং করতে দেওয়া হয়নি নন্দনে। এই নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কি রাজনীতি চলছে ওখানে। তাদের পার্টির লোকেদের ছবি প্রকাশ করতে দেন না। এমপি দেবের সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটেছে। রিলিজ করতে দেওয়া হয়নি, ওখানে আলাদা হিসাব হয়। এভাবে শিল্প সাহিত্য কাব্য কলুষিত করা হয়।’