কাজ করতে গিয়ে অভিনেতাদের কত কিছুর মুখেই না পড়তে হয়! কখনও কখনও তাঁরা কোনও সাক্ষাৎকারে সেসব গল্প বলেন, কখনও বা রিয়েলিটি শোতে এসে। সব দেখে শুনে সকলেই অবাক হয়ে যান। কিন্তু আমরা যাঁরা দর্শক তাঁরা কেবলই ছবিটা কেমন দাঁড়াল, কেমন হল সেটা দেখতে বা জানতে পারি, কিন্তু তার নেপথ্যে থাকা যে পরিশ্রম, কষ্ট, গল্প সেগুলো অনেক সময়ই জানা হয়ে ওঠে না। তবে এবার ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্যে’র মুক্তির আগে এই ছবি নির্মাণের নেপথ্যের গল্প তুলে আনলেন দেব এবং বিরসা। জানালেন তাঁদের টিম কতটা পরিশ্রম করেছে।
বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য’র একটা বড় অংশের শুটিং হয়েছে মধ্য প্রদেশে। বলে রাখা ভালো মধ্য প্রদেশের গড়কুণ্ডা দুর্গে। সেই টাইমস্কেলকে তুলে ধরতে তাঁদের টিম এটাকেই বেছে নিয়েছিল। কিন্তু দুর্গ বা তার লোকেশন পছন্দ হলেও সেখানে শুটিং করা যে বেশ কষ্টকর ছিল সেটাই এবার জানালেন দেব।
সদ্য একটি পোস্ট করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের মেকআপ করার দৃশ্য থেকে সেট সেটআপের দৃশ্য। ভারী ভারী মালপত্র নিচ থেকে দুর্গের উপরে বয়ে আনার পরিশ্রম। এই ছবির বিষয়ে দেব বলেন, '২৫০-৩০০ সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠতে হয় আমাদের। গোটা টিমের খুবই পরিশ্রম হচ্ছে। এত ভারী ভারী মালপত্র সব, লাইট, ইত্যাদি সবই বয়ে আনতে হচ্ছে। এটা বলা যেতে পারে অন্যতম পরিশ্রমী এবং কষ্টকর একটা আউটডোর।'
আরও পড়ুন: 'যাঁরা নেতিবাচক মন্তব্য করেন, তাঁদের কাছে প্রমাণ করতে চাই', ট্রোলারদের সাফ বার্তা ব্যোমকেশ দেবের
কিন্তু কেন এই দুর্গ বাছা হল শুটিংয়ের জন্য? এর উত্তরে দেব বলেন, 'ব্যোমকেশ যেভাবে লেখা হয়েছিল তাতে আমাদের মনে হয়েছে এখানে শুটিং হলে ভালো হবে। তাছাড়া এই দুর্গটা এতটাই সুন্দর যে বহুদিন পর মানুষ বাংলা ছবিতে এত সুন্দর ভিজ্যুয়াল দেখতে পারবেন। আর এর পুরোপুরি কৃতিত্ব যাচ্ছে বিরসা এর শুভঙ্করের। ওদের বন্ডিং, বোঝাপড়াটা ভীষণই ভালো।'
দেব এই ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখেন, 'ওরা কাজ করে', পর্দার পেছনে। ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য, একেই বলে শুটিং! পর্ব: ১ - গড়কুণ্ডা দুর্গ।'
প্রসঙ্গত আগামী ১১ অগস্ট মুক্তি পাচ্ছে দেব অভিনীত ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য’। এখানে নাম ভূমিকায় থাকবেন দেব। রুক্মিণী মৈত্রকে দেখা যাবে সত্যবতীর চরিত্রে। অজিত হয়েছেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য।