করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। কিন্তু সরকার চুপ করে বসে নেই। দেশে যাতে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়, সেজন্য সরকার সাম্প্রতিককালে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। বাদল অধিবেশনে এক সাংসদের করা প্রশ্নের উত্তরে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব।
বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন সরকারকে কর্মসংস্থান তৈরি নিয়ে প্রশ্ন করেন কানওয়ার দানিশ আলি। সাংসদের করা প্রশ্নের উত্তরে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব জানান, সরকারের তরফে একাধিক প্রকল্পে বিনিয়োগের কাজ চলছে। পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প ও প্রধানমন্ত্রী এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন পোগ্রামের মতো একাধিক প্রকল্পে যাতে আরও বেশি মানুষকে যুক্ত করা যায়, সরকার সেই বিষয়ের ওপরও জোর দিচ্ছে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনাকে বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। এর ফলে কোনও সংস্থায় মালিকপক্ষের উপর চাপ অনেকটাই কমবে। তখন সংস্থায় আরও বেশি করে শ্রমিকদের কাজে লাগানো যাবে। বিষয়টি আরও খোলসা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, যাঁদের মাসিক বেতন ১৫ হাজারের কম, সেইসব শ্রমিকদের ক্ষেত্রে দু'বছর সরকার বিশেষ সুবিধা দেবে। এই দুই বছর মালিকদের যত টাকা শ্রমিকদের দিতে হয়, তার ১২ শতাংশ সরকার দেবে। এই প্রকল্প তাঁদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, যাঁরা করোনা পরিস্থিতির সময়ে কাজ হারিয়েছেন ও যাঁরা গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় পড়ছেন না।|
একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রোজগার যোজনার আওতায় যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সরকারের তরফে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের যত মজুরি হিসেবে দেয়, তার ১২ শতাংশ তিন বছরের জন্য দেবে। মাসে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত যাঁদের বেতন, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে। পাশাপাশি রাস্তায় যাঁরা হকারি করেন, তাঁরা যাতে তাঁদের ব্যবসার কাজ ফের চালু করতে পারে, সেজন্যও সরকার বাড়িয়ে দেবে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী স্ট্রিট ভেন্ডরস আত্মনির্ভর নিধিতে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ও প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনাতে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।