আষাঢ় গুপ্ত নবরাত্রির নয় দিনে মা দুর্গার বিভিন্ন রূপের পূজা করা হয়। মা দুর্গার আরাধনা করলে জীবনে সুখ আসে বলে বিশ্বাস করা হয়।
নবরাত্রি বছরে চারবার পালিত হয়। দুইবার সাধারণ নবরাত্রি এবং দুইবার গুপ্ত নবরাত্রি। হিন্দু ধর্মে চৈত্র ও আশ্বিন নবরাত্রির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। যেখানে মাঘ ও আষাঢ় গুপ্ত নবরাত্রির কথা খুব কম মানুষই জানেন। তান্ত্রিক পূজা প্রধানত গুপ্ত নবরাত্রিতে করা হয়। গুপ্ত নবরাত্রির তেমন প্রচার হয় না। গুপ্ত নবরাত্রির সময়, আপনার আধ্যাত্মিক অনুশীলন গোপন রাখা হয়। এই বছর আষাঢ় মাসের গুপ্ত নবরাত্রি ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে, যা ০৮ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
আষাঢ় মাসের গোপন নবরাত্রির জন্য ৩০ জুন বৃহস্পতিবার ভোর ০৫.২৬টা থেকে ০৬.৪৩টা পর্যন্ত কালাশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
আষাঢ় গুপ্ত নবরাত্রির প্রতিকার-
1. পদোন্নতি ও চাকরির জন্য মা দুর্গার সামনে ঘির প্রদীপ জ্বালান। নয়টি বাটা নিন এবং প্রতিটি ব্যাটারে দুটি লবঙ্গ রাখুন। এবার মা দুর্গাকে এক এক করে সমস্ত জিনিস নিবেদন করুন। নবরাত্রির যে কোনো রাতে করুন এই প্রতিকার।
2. বিশ্বাস অনুসারে, বাল্যবিবাহের জন্য মা দুর্গার সামনে ঘি প্রদীপ জ্বালান। এরপর তাকে প্রতিদিন লাল ফুলের মালা অর্পণ করুন। বাল্য বিবাহের জন্য প্রার্থনা করুন। প্রতি নবরাত্রিতে এই অভ্যাসটি করুন।
3. শাস্ত্র অনুসারে, জীবনে উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য, যে কোনও দিন দেবী মন্দিরে গিয়ে লাল পতাকা অর্পণ করুন।
4. ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, নবরাত্রির সময় প্রতিদিন, বজরঙ্গবলীকে পান করুন এবং লাল চুনারিতে মাতা রানীকে পাঁচ ধরণের শুকনো ফল নিবেদন করুন।
5. গুপ্ত নবরাত্রিতে ধন ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য বাড়িতে রৌপ্য বা সোনার মুদ্রা আনলে আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে দেবী লক্ষ্মী খুশি হয়ে তার সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন।
( উপরোক্ত তথ্যে এটা কখনই দাবি করা হচ্ছে না যে এটা পূর্ণত সত্য এবং সঠিক৷ এব্যাপারে বিশদ জানতে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত )