হিন্দু ধর্মে একাদশী তিথিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। বিষ্ণুকে সমর্পিত এই তিথি। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী চৈত্র মাসের একাদশীকে পাপমোচিনী একাদশী বলা হয়ে থাকে। আজ, ২৮ মার্চ, সোমবার পাপমোচিনী একাদশী। চলতি বছর পাপমোচিনী একাদশীতে গ্রহের দুটি শুভ সংযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
শুভক্ষণ
একাদশী তিথি শুরু- ২৭ মার্চ, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ০৪ মিনিটে।
একাদশী তিথি সমাপ্ত- ২৮ মার্চ, রবিবার সন্ধ্যা ৪টে ১৫ মিনিটে।
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী ২৮ তারিখ সন্ধ্যা ৪টে ১৫ মিনিটের পর থেকে দ্বাদশী তিথি শুরু হবে।
শুভ সংযোগ
এ বছর পাপমোচিনী একাদশীতে সর্বার্থসিদ্ধি যোগ নির্মিত হচ্ছে। সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সিদ্ধি যোগ থাকবে। এর পর সাধ্য যোগের সূচনা হবে।
সিদ্ধি ও সাধ্য যোগের মাহাত্ম্য
হিন্দু ধর্মে সর্বাথসিদ্ধি যোগকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। এই যোগে করে থাকা যে কোনও শুভ কাজ সফল হয়। এমনকি কোনও অশুভ যোগের দুষ্প্রভাব সমাপ্ত করে সর্বার্থসিদ্ধি যোগ। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী বিদ্যা বা বিধি শেখান জন্য সাধ্য যোগ উত্তম। এই যোগের প্রভাবে জাতক সমস্ত সাংসারিক সুখ লাভ করে থাকে।
পাপমোচিনী একাদশীর মাহাত্ম্য
স্বয়ং কৃষ্ণ অর্জুনকে পাপমোচিনী একাদশীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, যে ব্যক্তি এই একাদশীর উপবাস করে, তাঁর সমস্ত পাপ নাশ হয়ে যায়। অবশেষে সেই জাতক মোক্ষ লাভ করে। এই উপবাস রাখলে সমস্ত মনোস্কামনা পূরণ হয়। এদিন বিষ্ণুর পুজো করা হয়। বিষ্ণুকে কলার ভোগ অর্পণ করা হয়।
পুজোর নিয়ম
এদিন ধূপ, দীপ চন্দন দিয়ে বিষ্ণুর পুজো করা হয়। ফলের ভোগ অর্পণ করা হয়। এর পর একাদশী ব্রত কথা শুনে বিষ্ণুর আরতী করা উচিত। কোনও অসহায় ব্যক্তিকে ভোজন করান। একাদশীর রাতে ঘুমাতে নেই, জাগরণ করে কাটানো উচিত। যাঁরা উপবাস করবেন, তাঁরা অন্ন গ্রহণ করবেন না। উপবাস ভঙ্গের আগে বিষ্ণুর পুজো করুন ও কোনও ব্রাহ্মণকে দান দিন।