Kalashtami: আজ কালাষ্টমী, জেনে নিন বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি ও অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সপ্তাহের কোন দিনে কী ভাবে করবেন বাবা কাল ভৈরবের পুজো।
1/8 আজ মঙ্গলবার অধীক মাসের কালাষ্টমী। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, কালাষ্টমীর উৎসবটি শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয়। আজ ভগবান শিবের অবতার কাল ভৈরবের উপাসনা করা শুধুমাত্র আপনার জীবনের সমস্ত নেতিবাচক শক্তিকে ধ্বংস করে না, এটিও বিশ্বাস করা হয় যে আজ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আপনি অশুভ শক্তির ছায়া থেকে মুক্তি পাবেন। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে ভগবান শিব অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করতে ভৈরবের উগ্র রূপ ধারণ করেছিলেন। এই পবিত্র শ্রাবণ মাসে, আজ ভগবান শিবের পাশাপাশি কাল ভৈরবের আরাধনা করলে আপনার জীবনের সমস্ত ঝামেলা দূর হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কালাষ্টমীর শুভ মুহূর্ত এবং এই দিনে কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে।
3/8 নেতিবাচক শক্তি দূর করতে কাল ভৈরবের প্রতিকার: যে কোন রবিবার বা শুক্রবার ভৈরব মন্দিরে গিয়ে ১১ টি গোলাপ, চন্দন এবং গুগলের সুগন্ধে সুরভিত ৩৩ টি ধূপকাঠি জ্বালিয়ে দিন। জীবনের নেতিবাচকতা দূর হবে।
6/8 শনিবার রাতে সরিষার তেলে উরদের ডালের খিচুড়ি তৈরি করুন এবং এটি সারারাত ঢেকে রাখুন এবং পরের দিন সকালে পথে দেখা প্রথম কুকুরটিকে খাওয়ান। মনে রাখবেন পিছনে ফিরে তাকাবেন না, এতে অশুভ শক্তির ছায়া চলে যায়।
7/8 একটি রুটি তৈরি করুন এবং আপনার মাঝের আঙুল দিয়ে একটি রেখা এঁকে কেন্দ্রে সরিষার তেল লাগান। এই প্রতিকার যে কোন বুধবার, বৃহস্পতিবার বা রবিবার করতে হবে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে কুকুর যদি রুটি খায়, তাহলে আপনার কষ্ট দূর হবে এবং কুকুর যদি এটি ঘ্রাণ নেওয়ার পরে চলে যায়, তবে বুঝবেন কাজটি সম্পন্ন হয়নি, সেক্ষেত্রে আপনার সপ্তাহের এই দিনগুলিতে কুকুর রুটি না খাওয়া পর্যন্ত এই প্রতিকার চালিয়ে যাওয়া উচিত। মনে রাখবেন যে এই রুটি শুধুমাত্র কালো কুকুরকে খাওয়াতে হবে।
8/8 তাই ভৈরব বাবার আশীর্বাদ পেতে এবং আপনার জীবন থেকে সমস্ত ঝামেলা দূর করতে আপনি শ্রাবণ মাস থেকেই এই প্রতিকার শুরু করতে পারেন। আজ কালাষ্টমীর বিশেষ দিন, তাই আপনার অবশ্যই যে কোনও ভৈরব মন্দিরে গিয়ে পুজো দেওয়া উচিত। (ছবি সৌজন্য পিটিআই)