মহাশিবরাত্রির ধর্মীয় উৎসব ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার পালিত হবে। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে এই উৎসবে ভগবান ভোলেনাথের পুজো করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, মহাশিবরাত্রির দিনে মা পার্বতী ও ভগবান শিবের বিয়ে হয়েছিল। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই কারণেই এই শুভ রাতে মহাদেবের পুজো করলে বহুগুণ বেশি উপকার পাওয়া যায় এবং তাকে সামান্য অবহেলা করলে তিনি সর্বদা ক্রুদ্ধ হন। মহাশিবরাত্রির দিনে শিব পুজোর জন্য জপ, তপস্যা, পুজো -পাঠ ইত্যাদির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম বলা হয়েছে। আসুন জেনে নিই মহাশিবরাত্রিতে শিব-শম্ভু এবং মা পার্বতীর আরাধনা সংক্রান্ত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম সম্পর্কে।
মহাশিবরাত্রি পুজোর নিয়ম
মহাশিবরাত্রির পুজোর সময় প্রথম নিয়ম হল ভুল করেও পুজোয় তুলসী ব্যবহার করবেন না।
এ ছাড়া শঙ্খ দিয়ে শিবলিঙ্গের জলাভিষেক করবেন না, তা না হলে দোষ হয়।
শিবের পুজোর সময় তামার পাত্র ছাড়া অন্য কোনো ধাতব পাত্র ব্যবহার করবেন না। তামার পাত্র দিয়ে শিবলিঙ্গে জল নিবেদন করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়, তবে একই তামার পাত্রে শুধুমাত্র জল নিবেদন করা শুভ কিন্তু দুধ দেওয়া উচিত নয়। শিব পুজোর সময় এই ভুল করা থেকে বিরত থাকুন।
মহাশিবরাত্রির পুজোর সময় শিবলিঙ্গে যা কিছু ভোগ নিবেদন করা হয়, তা নিজে প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ না করে, মানুষের মধ্যে বিতরণ করুন।
মহাশিবরাত্রিতে পুজো করার সময় দিকটাও মাথায় রাখুন। ভোলেনাথের পুজোর সময় আপনার মুখ পূর্ব বা উত্তর দিকে হওয়া উচিত।
শিবলিঙ্গে নিবেদন করা বেলপত্র এবং শমী পত্রের বজ্র অংশ (বৃন্তের দিকে মোটা অংশ) আলাদা করতে হবে। এরপর শিবলিঙ্গে নিবেদন করতে হবে।
মহাশিবরাত্রির পুজোর সময়, শিবলিঙ্গে অভিষেক করার সময় সমস্ত উপকরণ আগে থেকেই সঙ্গে রাখুন এবং শিব পুজোর সময় শিবলিঙ্গের কাছে ঘি-এর প্রদীপ জ্বালানোও শুভ বলে মনে করা হয়।